বহিরাগত ইস্যুর জবাবে বাংলার ভূমিপুত্রকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাওয়াই মোদীর

নিজস্ব প্রতিবেদন: মোদী-শাহ সমেত ভিন রাজ্য থেকেআসা বিজেপি নেতাদের বারবারই বহিরাগত বলে তোপ দাগছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার তারই জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে নির্বাচনী জনসভায় তিনি বলেন, ‘যে পবিত্র বঙ্গভূমিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রাজা রামমোহন রায়, মাতঙ্গিনী হাজরা, নেতাজি, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মতো মনীষীরা জন্মেছেন, সেখানে কেউ বহিরাগত নন।’ এমনকী বিজেপি সরকার গড়লে বাংলার ভূমিপুত্রই মুখ্যমন্ত্রী হবেন বলে ঘোষণা করে দেন প্রধানমন্ত্রী। শুধু বহিরাগত ইস্যু নয়, দুয়ারে সরকার নিয়েও রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে বিঁধেছেন মোদী। তাঁর কটাক্ষ, ‘সারা বছর মানুষের প্রয়োজনে পাশে পাওয়া যায়নি। তাই ভোটের আগে দুয়ারে সরকার করতে হচ্ছে।’
গত কয়েক দিন পুরুলিয়া-বাঁকুড়ার নির্বাচনী সভায় বারবারই মুখ্যমন্ত্রীর মুখে শোনা গিয়েছে, এটা দিল্লি বনাম বাংলার লড়াই। শুধু তাই নয়, বহিরাগতরা ভোট লুট করতে বাংলায় আসছেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন। এমনকী ‘বাংলা তার নিজের মেয়েকেই চায়’ বলে প্রচারও তুঙ্গে। নেত্রী বারবার এ প্রসঙ্গ তোলায় এবার বিধানসভা নির্বাচনে ‘বহিরাগত’কে বড় ইস্যু করছেন তৃণমূলের অন্যান্য নেতা থেকে প্রার্থীরা। তারই জবাব হিসেবে এদিন প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, ‘যেখানে দাঁড়িয়ে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বন্দেমাতরম লিখে গোটা দেশকে এক সূত্রে বেঁধেছিলেন সেখানে কেউ বহিরাগত হতে পারে না।’ এরপর বাংলাকে আপন বোঝাতে অন্যান্য মনীষীদের নাম সামনে আনেন প্রধানমন্ত্রী। এমনকী জাতীয় সঙ্গীতে দ্রাবিড় উৎকল বঙ্গ, বিন্ধ্য হিমাচল যমুনা গঙ্গার উল্লেখ করেন তিনি। এরপরেই দুয়ারে সরকার নিয়ে আক্রমণের সুর চড়ান তিনি। বলেন, ‘গত ১০ বছরে কী কাজ হয়েছে? মানুষের প্রয়োজনে পাশে পাওয়া যায়নি। তাই ভোটের আগে দুয়ারে সরকার করতে হচ্ছে। এই গেম সকলে বুঝে গিয়েছেন। তাই ২ মে রাজবাসী আপনাকে দুয়ার দেখিয়ে দেবেন।’

Exit mobile version