TMC Leader: মন্দারমনির রিসর্ট থেকে তৃণমূল নেতার দেহ উদ্ধার! দুই মহিলাকে নিয়ে বাড়ছে রহস্য

মন্দারমনি রিসর্টে তৃণমূল নেতার (TMC Leader) মৃত্যুতে রহস্য ক্রমেই ঘনীভূত হতে শুরু করেছে। ওই তৃণমূল নেতার (TMC Leader) দুই বান্ধবীকে ঘিরে ইতিমধ্যে রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। তবে তৃণমূল নেতার (TMC Leader) খুনের পরেই রিসর্ট কর্তৃপক্ষ কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছেন। পুলিশও এই বিষয়ে মুখ খুলেছে না সাংবাদমাধ্যমের কাছে। তৃণমূল নেতা (TMC Leader) আবুল নাসার দেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতা (TMC Leader) আবুল নাসারের স্ত্রী আমডাঙ্গার আদাহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান।

তৃণমূল নেতার খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে মন্দারমনি কোস্টাল থানার পুলিশ এক বন্ধু ও এক বান্ধবীকে আটক করেছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়েছে। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুই বান্ধবী ও এক বন্ধুকে নিয়ে মন্দারমনি বেড়াতে আসেন ওই তৃণমূল নেতা। মন্দারমনির এক বিলাসবহুল হোটেলে ছিলেন। শুক্রবার অসুস্থতার কারণে এক বান্ধবী বাড়ি চলে যান বলে জানা গিয়েছে। তবে অন্য মহিলা শুক্রবার থেকে যান। শুক্রবার রাতে তিনি আবুল নাসারের সঙ্গে একই ঘরে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশি জেরায় তৃণমূল নেতার ওই বান্ধবী জানান, রাত একটা নাগাদ তিনি বাথরুমে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন আবুল নাসারের দেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। ঘটনাটি দেখার পর সঙ্গে সঙ্গে তিনি পুলিশে খবর দেন বলে জানিয়েছেন। সূত্রের খবর, আবুল নাসারের বিশেষ বন্ধু ছিলেন ওই মহিলা। গত ছয় বছর ধরে আবুল নাসারের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব ছিলেন। তাঁর বাড়ি ব্যারাকপুরে। প্রায়শই দুজন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতেন। আবুল বিবাহিত ছিলেন। কিন্তু ওই মহিলা এখনও বিয়ে করেননি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় পরকীয়া বা ত্রিকোন প্রেমের দিকটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মৃত্যুর নেপথ্যে কোনও রাজনৈতিক রং নেই বলে দাবি করেছেন আমডাঙা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, ‘‘দলের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন উনি। ওঁর মৃত্যুতে দলের বড় ক্ষতি হল।’’

পূর্ব মেদিনীপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) শুভেন্দ্র কুমার বলেন, ‘‘একটি ঝুলন্ত দেহ হোটেলে পাওয়া গিয়েছে। আমরা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। ওই ব্যক্তির সঙ্গে থাকা এক মহিলাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব থানাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পরবর্তী কালে যদি কিছু পাওয়া যায়, আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু হবে।’’

 

Exit mobile version