Ahmedabad plane crash: কীভাবে ঘটল? দুর্ঘটনায় একমাত্র জীবিত বিশ্বাস কুমারকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর জিজ্ঞাসা

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় (Ahmedabad plane crash) বেঁচে যাওয়া একমাত্র ব্যক্তি বিশ্বাস কুমার রমেশের সাথে হাসপাতালে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। প্রধানমন্ত্রী মোদী বিশ্বাস কুমারকে সেই ভয়াবহ দৃশ্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন যেখানে বিমানে থাকা ২৪২ জনের মধ্যে ২৪১ জন প্রাণ হারান। বিশ্বাস কুমারই একমাত্র জীবিত ব্যক্তি।

প্রধানমন্ত্রী মোদী জিজ্ঞাসা করেন, কীভাবে এই সব ঘটল? এই প্রশ্নের উত্তরে বিশ্বাস কুমার বলেন, সবকিছু আমার চোখের সামনেই ঘটেছে। আমি নিজেও বিশ্বাস করতে পারছি না যে আমি কীভাবে জীবিত বেরিয়ে এসেছি। কিছুক্ষণের জন্য আমার মনে হয়েছিল আমিও মারা যাব। কিন্তু যখন আমি চোখ খুললাম, তখন আমি দেখতে পেলাম যে আমি বেঁচে আছি। এরপর আমি সিট বেল্ট খুলে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করলাম। তারপর আমি বেরিয়ে এলাম। আমার চোখের সামনে, বিমানে উপস্থিত এয়ার হোস্টেস, যাত্রীরা সবাই অদৃশ্য হয়ে গেল।

সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, বিশ্বাস কুমার দুর্ঘটনার বিস্তারিত (Ahmedabad plane crash) জানিয়ে বলেন যে তার আসনটি ছিল ১১-এ। আসনটি ছিল বিমানের সেই অংশে যা ভবনের নিচতলায় আঘাত হানে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক বিশ্বাস এরপর তার সিট বেল্ট খুলে বিমান থেকে বেরিয়ে আসেন। তিনি বলেন যে আগুনের কারণে তার বাম হাত পুড়ে গেছে।

এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তিনি বলেন, তিনি কেবল যাত্রী এবং ক্রু সদস্যদের মৃতদেহ দেখেছেন। এটি দেখার পর তিনি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন।

বিশ্বাস বলল, ‘আমি যে পাশে বসে ছিলাম সেটা হোস্টেলের ওপর তলা ছিল না, হোস্টেলের নিচতলা ছিল। অন্যদের কথা আমি জানি না, তবে আমি যে পাশে বসে ছিলাম সেটা নিচতলায় ছিল। সেখানে কিছু জায়গা ছিল। আমার দরজা ভাঙার সাথে সাথেই আমি দেখতে পেলাম যে কিছু জায়গা আছে এবং তারপর আমি বেরিয়ে আসার চেষ্টা করলাম এবং বেরিয়ে এলাম।’

এর সাথে সাথে বিশ্বাস বলেন, ‘ওপারে একটা ভবনের দেয়াল ছিল আর প্লেনটা পুরো ওপারে ভেঙে পড়েছিল। সম্ভবত সেই কারণেই ওই পাশ থেকে কেউ বেরিয়ে আসতে পারেনি। শুধু আমি যেখানে ছিলাম সেখানে জায়গা ছিল। আমি জানি না কীভাবে বেঁচে গিয়েছিলাম। যখন আগুন লাগে, তখন আমার বাম হাতও পুড়ে যায়। তারপর আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানকার মানুষ আমার সাথে ভালো ব্যবহার করছে। এখানকার মানুষ খুব ভালো।’

Exit mobile version