মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে (Medinipur Medical College)প্র সূতি মৃত্যুর ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন বিতর্ক। এবার ওষুধ কেনাকাটায় বড় গরমিল এবং সংরক্ষণে নিয়ম না মানার অভিযোগ উঠেছে (Medinipur Medical College) । প্রসূতির রক্তক্ষরণ বন্ধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ অক্সিটোসিন কেনা হয়েছে সরকার অনুমোদিত সংস্থাকে এড়িয়ে (Medinipur Medical College)। বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ (Medinipur Medical College) কর্তৃপক্ষ এখন আতস কাচের তলায়।
অভিযোগ, ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ সরকার অনুমোদিত কর্নাটক অ্যান্টিবায়োটিকসের কাছ থেকে অক্সিটোসিন না কিনে, স্থানীয় কোলে মেডিক্যাল এজেন্সি এবং মধুসূদন মেডিক্যাল এজেন্সির কাছ থেকে লাখ লাখ টাকার ওষুধ কেনে। অথচ সরবরাহে কোনও ঘাটতি ছিল না। কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে স্বাস্থ্য দফতর।
শুধু কেনাকাটা নয়, অক্সিটোসিন সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও বড় গলদ ধরেছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল। নিয়ম অনুযায়ী, অক্সিটোসিন ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা বাধ্যতামূলক। অভিযোগ, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এই নিয়ম মানা হয়নি। ফলে সংরক্ষণের গাফিলতি কীভাবে ওষুধের গুণমান প্রভাবিত করেছে, তা নিয়েও শুরু হয়েছে চাপানউতোর। কর্ণাটক অ্যান্টিবায়োটিকস, যা ভারত সরকারের অধীনস্থ একটি সংস্থা, রাজ্য সরকার অনুমোদিত। অথচ সরবরাহে কোনও ঘাটতি না থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় সংস্থা থেকে কেনা হল ওষুধ। এই সিদ্ধান্তের পেছনে কী কারণ, তা নিয়ে উঠছে গুরুতর প্রশ্ন।
এই ঘটনায় রাজ্য স্বাস্থ্য ভবন থেকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হতে পারে। কেন সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘন করে ওষুধ কেনা হল এবং সংরক্ষণের গাফিলতির জন্য কে দায়ী, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসূতি মৃত্যুর মতো মর্মান্তিক ঘটনার পর এমন অভিযোগ হাসপাতালের প্রশাসনিক ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।
জনস্বাস্থ্য ও প্রসূতি সুরক্ষার ক্ষেত্রে এমন গাফিলতি নিয়ে সচেতনতা ও দায়বদ্ধতা বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞমহল। কিছুদিন আগেই স্যালাইন কাণ্ড নিয়ে বিতর্কের শিরোনামে উঠে এসেছিল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইন কাণ্ডের জেরে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। তিনি প্রসূতির শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তিন প্রসূতিকে গ্রিন করিডর করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।