Amit Shah: আম্বেদকর বিতর্ক নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগের জবাব অমিত শাহ’র, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ৮টি অভিযোগ

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তার বিরুদ্ধে কংগ্রেসের করা অভিযোগের জবাব দেন। তিনি বলেন, গতকাল থেকে কংগ্রেস তথ্য বিকৃত করছে এবং তিনি এর নিন্দা করেন। কংগ্রেস বি আর আম্বেদকরের (B. R. Ambedkar) বিরোধী এবং সংরক্ষণ ও সংবিধানের বিরোধী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগের জবাবে কংগ্রেসের ৮টি অপমানের কথা উল্লেখ করেন।

অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, ‘আমার বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। তিনি প্রথমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সম্পাদিত বক্তব্য জনসমক্ষে প্রকাশ করেন। যখন নির্বাচন চলছিল, তখন আমার বক্তব্য এআই ব্যবহার করে সম্পাদনা করা হয়েছিল এবং আজ তারা আমার (Amit Shah) বক্তব্যকে বিকৃত করছে। আমি গণমাধ্যমকেও আমার পুরো বক্তব্য জনসাধারণের সামনে রাখার অনুরোধ করতে চাই। আমি এমন একটি দলের সদস্য যারা কখনও আম্বেদকরকে অপমান করতে পারে না। যখনই ভারতীয় জনতা পার্টি ক্ষমতায় এসেছে, আমরা আম্বেদকরজির নীতিগুলি প্রচার করেছি। আমি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকেও বলতে চাই যে, কংগ্রেসের এই ঘৃণ্য প্রচেষ্টাকে আপনাদের সমর্থন করা উচিত হয়নি। আমি অত্যন্ত দুঃখিত যে রাহুল গান্ধীর চাপে আপনারাও এতে যোগ দিয়েছেন।

কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ অমিত শাহের

১. সংবিধান সভা যখন তার কাজ করে দিয়েছিল, তখন ১৯৫১-৫২ এবং ১৯৫৪ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, উভয়বারই কংগ্রেস বাবাসাহেবকে পরাজিত করতে কোনও প্রয়াস ছাড়েনি।

২. তিনি (Amit Shah) বলেন, ‘যতদূর ভারতরত্ন দেওয়ার কথা, কংগ্রেস নেতারা বহুবার নিজেদেরকে ভারতরত্ন দিয়েছেন। ১৯৫৫ সালে জওহরলাল নেহরু, ১৯৭১ সালে ইন্দিরা গান্ধী নিজেকে ভারতরত্ন দিয়েছিলেন এবং ১৯৯০ সালে কংগ্রেস ক্ষমতায় না থাকলে বাবাসাহেব ভারতরত্ন পেয়েছিলেন। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত কংগ্রেস চেষ্টা করে যাচ্ছিল যে বাবাসাহেব যেন ভারতরত্ন না পান।

৩. এমনকি বাবাসাহেব সাহেবের ১০০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনও নিষিদ্ধ ছিল।

৪. অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, ‘কংগ্রেস যতদিন ক্ষমতায় ছিল, আম্বেদকরের স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করতে দেওয়া হয়নি। বিরোধী সরকার আসার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের স্মৃতিসৌধ তৈরি করা হয়।

৫. আম্বেদকরের প্রতি নেহরুজির ঘৃণা সর্বজনবিদিত। যখন বি. সি. রাও নেহরুকে একটি চিঠি লিখেছিলেন যে আম্বেদকর মন্ত্রিসভা ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন, তখন তিনি বলেছিলেন যে তাঁর প্রস্থান মন্ত্রিসভাকে প্রভাবিত করবে না।

৬. বিজেপি নেতা বলেন, “নেহরুজি যেভাবে আম্বেদকরজির মহান অবদানকে মূল্যায়ন করতেন, তার চেয়ে বড় উদাহরণ আর হতে পারে না।”

৭. জওহরলাল নেহরুর একটি বইয়ের কথা উল্লেখ করে অমিত শাহ বলেন, “যখন বোম্বের এক মেয়র নেহরুজিকে বলেছিলেন যে আম্বেদকরের জন্মস্থান মাউতে তাঁর জন্য একটি স্মৃতিসৌধ তৈরি করা উচিত। এই প্রসঙ্গে ১৯৫৯ সালের ১৮ জুন পণ্ডিতজি বলেছিলেন যে, সরকারের স্মৃতিসৌধ স্থাপন করা মোটেও স্বাভাবিক হবে না। সাধারণত স্মৃতিসৌধটি ব্যক্তিগত উদ্যোগে করা হয়।

৮. আরেকটি উদাহরণ দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সর্বদলীয় মন্ত্রিসভা দেশের প্রথম মন্ত্রিসভা হয়ে ওঠে। বাবাসাহেব আম্বেদকর ছিলেন তাঁদের মধ্যে একজন। নেহরুর বইয়ে আরও একটি উল্লেখ রয়েছে। নেহরুজির আশ্বাসের পরেও আম্বেদকরজিকে কোনও গুরুত্বপূর্ণ দফতর দেওয়া হয়নি।

Exit mobile version