তিহার জেল থেকে বের হওয়ার পর থেকে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন, তাঁর আর আগের জায়গা নেই। বীরভূমের কোর কমিটির সঙ্গে তাঁর ঠান্ডা লড়াই চলতে (Anubrata Mondal) শুরু করেছিল। কিন্তু ২৫ নভেম্বর কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে তৃণমূলের কর্মসমিতির বৈঠক হয় (Anubrata Mondal)। তারপর থেকেই অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) সেই পুরনো মেজাজ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। সম্প্রতি বীরভূমে কোর কমিটির বৈঠক ছিল। সেখানে বেশ শান্ত মেজাজেই দেখতে পাওয়া গেল অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) ।
অনুব্রত মণ্ডলের জেল থেকে বের হওয়ার পর দ্বিতীয় কোর কমিটির বৈঠকে যোগ দেন। সেখানে তিনি খুব শান্ত ভঙ্গিতে জানিয়ে দেন, কোর কমিটির বৈঠকে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তাই চূড়ান্ত হবে। জানা গিয়েছে, কোর কমিটির বৈঠকে অনুব্র মণ্ডল প্রথম থেকেই খুব শান্ত ছিলেন। বৈঠকের মধ্যে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায় মিটিং পরিচালনা করবেন। কারণ তিনি জেলার সিনিয়র নেতা।’ এর বাইরে অনুব্রত মণ্ডলকে বৈঠকে আর কোনও কথা বলতে শোনা যায়নি।
তবে বীরভূমে বার বার তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসছে। বার বার প্রকাশ্যে আসছে যে তৃণমূলের নেতাদের মধ্যে সেভাবে কোনও যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। কাজল শেখ সিউড়িতে বৈঠক করেছেন। যদিও তা স্থানীয় বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী জানেন না।রবিবার কোর কমিটির আহ্বায়ক তথা সিউড়ির বিধায়ক এই তথ্য তুলে বলেন, ‘যদি এমন হয়ে থাকে, আপনি এটা সরাসরি বলতে পারেন কাজলকেই। আলোচনায় সমাধান সবের হয়।’ অন্যদিকে, সাঁইথিয়াতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু সেই বিষয়ে কিছুই জানেন না স্থানীয় বিধায়ক নীলাবতি সাহা।
এই প্রসঙ্গে কাজল শেখ বলেন, ‘যাঁরা আয়োজক তাঁরা ডেকেছেন। আমার কিছু করার নেই। কোর কমিটি সেটা মেনে নিয়েছে। এবার সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ১–৩০ জানুয়ারি দল যে কর্মসূচী ডেকেছে সেটা পালন করতে জোর দেওয়া হবে। ২৯ জানুয়ারি জেলা কমিটি বৈঠক বসবে।’