Arpita Mukherjee: মায়ের শ্রাদ্ধের পরেই গুরুতর অসুস্থ! হাসপাতালে ভর্তি করা হল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সদ্য জামিন পেয়েছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। মায়ের মৃত্যুর পর প্রথমে প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। তারপরেই তিনি (Arpita Mukherjee) জামিন পান। কিন্তু মায়ের শ্রাদ্ধের পরেই তিনি (Arpita Mukherjee) অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে (Arpita Mukherjee) বাইপাসর ধারে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, অর্পিতার পেটে কোনও ধরনের সংক্রমণ হয়েছে। মায়ের শ্রাদ্ধের পর থেকে তলপেটে ব্যথা অনুভব করেন। তারপরেই পরিস্থিতি খারাপ হলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই মুহূর্তে তিনি ইএমবাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্যদিকে, একাধিক শর্তে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় জামিন পেয়েছেন। সেই শর্তপূরণের জন্যই আদালতে জানানো হয়েছে তিনি কোনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, পরবর্তীতে অসুস্থতা বাড়লে অন্য কোনও হাসপাতালে ভর্তি হবেন কি না সবটাই জানানো হয়েছে আদালতে।

প্রসঙ্গত পরশুদিন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মায়ের শ্রাদ্ধের কাজ ছিল। সেই কাজের পর থেকেই তিনি অসুস্থ বোধ করেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অর্পিতা মুখোপাধ্যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণে নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। এরপরেই অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়।

গত ২৫ নভেম্বর ৫ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। বিশেষ ইডি আদালত তাঁকে জামিন মঞ্জুর করেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও সরাসরি অভিযোগ নেই। তাঁর জেল মুক্তির সম্ভাবনা ক্রমেই জোড়াল হচ্ছে। আদালতের নির্দেশে তাঁকে পাসপোর্ট জমা রাখতে হয়েছে। এছাড়াও তিনি কলকাতা পুলিশের অধীনে থাকা এলাকার বাইরে যেতে পারবেন না।

অর্পিতা মুখোপাধ্যায় জামিন পেয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় জামিন পাননি। তিনি বার বার জামিনের আবেদন করলেও তা স্থগিত হয়ে যাচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টে তাঁর জামিনের আবেদন করা হচ্ছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বার বার তাঁর বিরুদ্ধে প্রভাবশালী তকমা দিচ্ছেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যদি জামিন পায়, সেক্ষেত্রে সমাজের কাছে একটা বিরূপ বার্তা যাবে।

 

Exit mobile version