বাংলাদেশে (Bangladesh) কার্যত আইনের শাসন নেই। বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে (Bangladesh) অনুপ্রবেশকারীদের ওপর অত্যাচার ক্রমেই বেড়ে চলেছে। পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অবৈধ শরণার্থীদের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এই পরিস্থিতি ভারত বাংলাদেশ (Bangladesh) সীমান্তে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। নজরদারির জন্য অত্যাধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। বাড়িত জওয়ান নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু উদ্বেগ তারপরেও যাচ্ছে না। বিশেষ করে যে সব অঞ্চলে কাঁটাতার নেই, সেই অঞ্চলগুলো নিয়ে বেড়েই চলেছে উদ্বেগ। দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আইজি মনীন্দর সিং পাওয়ার কোথায় কতটা উদ্বেগ তা সাংবাদমাধ্যমকে জানান।
দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আইজি মনীন্দর সিং পাওয়ার জানিয়েছেন, রাতের সীমান্ত পাহারায় শক্তিশালী ক্যামেরা বসানো হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের অধীনে স্থল সীমান্তের পরিমাণ ৯১৩.৩২৪ কিলোমিটার, জলসীমান্ত রয়েছে ৩৬৩.৯৩০ কিলোমিটার। তার মধ্যে ৫০০ কিলোমিটারের বেশি জায়গায় কাঁটাতার নেই। সেই অংশগুলো নিয়ে বিএসএফ মূলত উদ্বেগে রয়েছে। তবে বাংলাদেশের উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যে ইতিমধ্যে বেশ কিছু অঞ্চলে নতুন করে কাঁটাতার লাগানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে এ ব্যাপারে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। তবে বিএসএফ কর্তা বলেন, “যে সব অংশ এখনও অরক্ষিত, সেখানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
তবে দক্ষিণবঙ্গ ফন্টিয়ার জানিয়েছেন, রাজ্যের চারটি জেলা উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, মালদহ ও মুর্শিদাবাদ নিয়ে মূলত উদ্বেগ রয়েছে। এই চারটি জেলায় বেশ কিছু জলসীমান্ত রয়েছে। মূলত সেগুলো নিয়ে উদ্বেগ বলে বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে।
অনেক অবৈধ শরণার্থীকে বিএসএফের জওয়ানরা গ্রেফতার করেছেন। কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশ থেকে বিনা ভিসাতে ভারতে প্রবেশের সময় দুই বৃদ্ধাকে বিএসএফ আটক করেছে। যাঁদের মধ্যে একজনের বয়স ৭২ বছর ও অন্যজনের বয়স ৮০ বছর। অন্যদিকে, উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে ২টি পৃথক জায়গা থেকে ২ জনকে আটক করেন বিএসএফ জওয়ানরা। ধৃতদের কালিয়াগঞ্জের থানায় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আদালত তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাতজের নির্দেশ দেয়।