সকালে মালদহের শুকদেবপুর সীমান্তে (Bangladesh border) চরম উত্তেজনা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ (Bangladesh Border) থেকে ৬ জন জঙ্গি ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেছে। ভোর চারটের দিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (Bangladesh Border) (বিজিবি) মদতে এই অনুপ্রবেশ ঘটেছে বলে দাবি। যদিও বিএসএফ ও গ্রামবাসীদের তৎপরতায় তারা পালাতে বাধ্য হয় (Bangladesh Border) ।
শুকদেবপুরের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, “ভোরবেলায় ৬ জন জঙ্গি কুয়াশার সুযোগ নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছে। আমরা বিএসএফের সঙ্গে মিলে তাদের তাড়া করি। তবে তারা পালিয়ে যায়। বিজিবি ক্রমাগত এই ধরনের অনুপ্রবেশে মদত দিচ্ছে।” শুকদেবপুরের বিপরীতে বাংলাদেশে চাপাই নবাবগঞ্জ এলাকা, যা আগে থেকেই জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য পরিচিত। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, এই এলাকা অত্যন্ত স্পর্শকাতর। জাল নোট পাচারের করিডর হিসেবেও কুখ্যাত। শিবগঞ্জ এলাকা থেকে চোরাচালান এবং অনুপ্রবেশের ঘটনা আগেও বহুবার ঘটেছে।
সীমান্ত এলাকায় বিজিবি-র কর্মকাণ্ড ঘিরে নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। শুকদেবপুর সীমান্তে মাটি খুঁড়ে তৈরি করা হচ্ছে বাঙ্কার, যা উস্কানিমূলক কার্যকলাপ বলে মনে করছে বিএসএফ। একইসঙ্গে কোচবিহার, নদিয়ার কৃষ্ণনগরসহ বিভিন্ন সীমান্তেও বিজিবি-র কার্যকলাপ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। বিএসএফ জানিয়েছে, অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তারা সক্রিয়। বিজিবি-র উস্কানির মোকাবিলায় পাল্টা কৌশল তৈরি করা হচ্ছে। সীমান্তে কাঁটাতারের কাজেও বাধা দিচ্ছে বিজিবি, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।
গোয়েন্দারা বলছেন, মালদহের মতো সীমান্ত এলাকা এখন জঙ্গি কার্যকলাপ ও চোরাচালানের জন্য বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। কুয়াশা এবং অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে বিজিবি জঙ্গি ঢোকানোর চেষ্টা করছে। এই ধরনের কার্যকলাপের মোকাবিলায় সীমান্ত নজরদারি আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলে মত বিশেষজ্ঞদের। সীমান্তের অস্থিরতা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিএসএফের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারিও জোরদার করা হয়েছে।