মধ্য কলকাতা থেকে গ্রেফতার (Bangladeshi Arrested) হওয়া বাংলাদেশী নাগরিক সম্পর্কে হোটেল কর্মী ও স্থানীয়দের কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর খবর উঠে এসেছে। পদবি শর্মা হলেও বাংলাদেশের ওই নাগরিক (Bangladeshi Arrested) ইসলামিয়া হোটেলে খাবার খেতেন। একবার নয়, একাধিকবার স্থানীয় বাসিন্দা ও হোটেলের কর্মীরা (Bangladeshi Arrested) তাঁকে যেতে দেখেছেন।
বৃহস্পতিবার কলকাতার মার্কোয়েস স্ট্রিটের একটি গেস্ট হাউজ থেকে সেলিম মাতুব্বর নামে এক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যে গেস্ট হাউসের কর্মী বলে জানা যাচ্ছে ধৃত বাংলাদেশীকে, সেখানকার কর্মীদের বক্তব্য নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। গেস্ট হাউসের এক কর্মী বলেন, মাঝে মাঝেই ওই গেস্ট হাউসে উঠতেন ওই ব্যক্তি। শেষবার বাংলাদেশের ওই ব্যক্তি ১৯ নভেম্বর গেস্টহাউসে এসেছিলেন। ২৬ নভেম্বর চলে গিয়েছিলেন। অন্য এক কর্মী আবার বলেন, গেস্ট হাউসের আবাসিক ছিলেন না ধৃত। বরং সেখানের কর্মী ছিলেন। ওই কর্মী বলেন, ধৃতের আচরণে সন্দেহ হওয়ায় তিনি পরিচয় জানতে চেয়েছিলেন। ধৃত নিজের নাম রবি শর্মা। কিন্তু নাম শোনার পরেও আরও সন্দেহ হয়।
গেস্ট হাউসের কর্মী বলেন, নাম রবি শর্মা। কিন্তু বার বার ইসলামিয়া হোটেলে ধৃত ব্যক্তিকে খেতে যেতে দেখা যেতো। সেই কারণেই সন্দেহ হয়েছিল। তবে স্থানীয়রা গত এক বছরে অনেকবার ধৃত বাংলাদেশীকে ওই গেস্ট হাউসে দেখেছেন। অন্যদিকে, পার্কস্ট্রিট থানার পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত বাংলাদেশীর কাছ থেকে ‘রবি শর্মা’ নামে ভারতীয় পাসপোর্ট, ভারতীয় আধার কার্ড ও প্যান কার্ড উদ্ধার হয়েছে। তবে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে সব জাল।
ধৃত বাংলাদেশের মাদারিপুরের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল বিএনপি-র নেতা বলে জানান। ২০১৩ সালে ওই ব্যক্তি প্রথম বাংলাদেশ থেকে বনগাঁয় আসেন। সেখানেই তিনি প্রথমে থাকা শুরু করেন। সেখান থেকেই তিনি জাল নথি তৈরি করেন। জাল আধার কার্ড, প্যান কার্ড, পাসপোর্ট তৈরি করেন। ধৃত বাংলাদেশের নাগরিকের ভারতীয় জাল পাসপোর্টে নাম রয়েছে রবি শর্মা। জন্ম রাজস্থানের জয়পুরে। দিল্লি থেকে পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।