সীমান্তে (Bangladesh Border) বাড়ছে উত্তেজনা। উত্তরবঙ্গের দীর্ঘ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে (Bangladesh Border) অনুপ্রবেশ এবং পাচারজনিত কার্যকলাপ রুখতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ এসেছে কেন্দ্র থেকে। প্রয়োজনে গুলি চালানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী (BSF)-কে (Bangladesh Border)।
সম্প্রতি বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং সীমান্ত এলাকায় বারবার অশান্তি উসকে দেওয়ার প্রবণতা বিএসএফের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের চিকেন নেক এবং মালদা-সহ সংলগ্ন এলাকাগুলিতে অনুপ্রবেশ এবং পাচার বেড়ে যাওয়ায় বাড়তি নজরদারি শুরু হয়েছে।
বিএসএফ সূত্রে খবর, সীমান্তে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (BGB) বারবার বিএসএফ এবং স্থানীয় ভারতীয়দের সঙ্গে সংঘাতে জড়াচ্ছে। ফাঁসিদেওয়া এবং ফুলবাড়ি এলাকায় কাটাতার বসানোর কাজে বিজিবি-র বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এদিকে, শীতকালে কুয়াশার সুযোগ নিয়ে অনুপ্রবেশ এবং পাচার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় আরও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ এবং সদর ব্লক মিলিয়ে প্রায় ৮৭ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা রয়েছে। এর মধ্যে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের ১৮ কিলোমিটার এলাকা অরক্ষিত, যেখানে নদী এবং উন্মুক্ত জমি পাচারকারীদের জন্য সহজ রুট হয়ে উঠছে।
গত ডিসেম্বরেই বিএসএফ এবং পাচারকারীদের সংঘর্ষে একজন বাংলাদেশি পাচারকারী নিহত হয়। সম্প্রতি বেআইনি অনুপ্রবেশের অভিযোগে সাতজন বাংলাদেশি গ্রেফতার হয়েছে। অভিযোগ, এই অরক্ষিত এলাকাগুলিকে কাজে লাগিয়ে অনুপ্রবেশ, গরু পাচার, মাদক পাচার-সহ বিভিন্ন ধরনের ক্রস-বর্ডার অপরাধ চালানো হচ্ছে।
উত্তরবঙ্গ সীমান্তে পরিস্থিতি সামাল দিতে বিএসএফ-কে আরও কঠোর হতে বলা হয়েছে। কড়া নজরদারি, কাটাতার বসানো এবং অপারেশন চালিয়ে পাচার এবং অনুপ্রবেশ রুখতে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। সীমান্তে উত্তেজনা থাকলেও বিএসএফ সজাগ এবং দৃঢ়। দেশের নিরাপত্তা বজায় রাখতে যে কোনও পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী।