শিয়ালদহ আদালতের ফাস্ট জাজ অনির্বাণ দাস আরজি কর ধর্ষণ ও খুন মামলায় দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ের জন্য আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন (Mamata Banerjee)। তবে সঞ্জয়ের ফাঁসির সাজা না হওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক (Mamata Banerjee)। নিম্ন আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মালদহের একটি জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি (Mamata Banerjee) প্রশ্ন করেন, “কীভাবে বলা যায় এটি বিরলতম ঘটনা নয়?” মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনায় রাজ্যের অপরাজিতা বিলের প্রসঙ্গও তুলে আনেন। আরজি কর মামলার মতো নৃশংস ঘটনার পর রাজ্য বিধানসভায় এই বিল পাশ হয়, যেখানে ধর্ষণের মতো অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই বিল এখনও রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পায়নি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা অপরাজিতা বিল পাশ করেছি, যেখানে ডেথ পেনাল্টি রেখেছি। কিন্তু সেই বিল কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদন দিচ্ছে না। এটি একটি মডেল হতে পারত, যা গোটা দেশে গ্রহণযোগ্য হতে পারে।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সঞ্জয়ের ফাঁসির সাজা না হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী এই বিলের অনুমোদন না পাওয়া নিয়ে কেন্দ্রকে দায়ী করছেন।
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৩ ধারায় লেখা ছিল, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কোনও আসামী খুন করলে তার শাস্তি একমাত্র মৃত্যুদণ্ড হবে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট ১৯৮৩ সালের এক রায়ে এই ধারাকে সংবিধানবিরোধী ঘোষণা করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অপরাজিতা বিল অনুমোদনের ক্ষেত্রে সংবিধান এবং আইনি জটিলতা রয়েছে। একই ধরনের বিল মহারাষ্ট্র সরকারও রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়েছে, তবে তা এখনও অনুমোদন পায়নি।
আরজি কর মামলার রায় প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “অনেক কেসে দেখা গেছে অপরাধীরা ২-৩ বছরের মধ্যে পে রোলে বেরিয়ে যায়। অন্যায় করলে ক্ষমা করে দেওয়া যায় না। এই কেসে আমি সত্যিই শকড।” তিনি আরও বলেন, “কীভাবে বলা যায় এটি বিরলতম ঘটনা নয়? আমি মনে করি এটি একটি সংবেদনশীল মামলা। অপরাধীদের রক্ষা করা আমাদের কাজ নয়।”
নিজের আইনজীবী থাকার অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে মমতা বলেন, “আমি নিজেও একজন আইনজীবী ছিলাম। আমি আদালতে দাঁড়িয়ে অনেক কেস লড়েছি। আইন ভালোভাবে জানি বলেই এই বিষয়ে আমার অবস্থান দৃঢ়।”