Death in Police Custody: যোগী রাজ্যে ‘পুলিশি হেফাজতে’ মৃত্যু, নাম বদলে ‘অত্যাচার গৃহ’ রাখার প্রস্তাব অখিলেশ যাদবের

উত্তরপ্রদেশের লখনউতে পুলিশি হেফাজতে এক ব্যক্তির মৃত্যুকে (Death in Police Custody) কেন্দ্র করে রাজনৈতিক বিতর্ক তুঙ্গে পৌঁছেছে। নিহত ব্যক্তির নাম মোহিত পান্ডে। ঘটনার পর মৃতের পরিবার-পরিজনেরা দোষী পুলিশদের শাস্তির দাবিতে পথ অবরোধও করেছে। এদিকে এই ঘটনায় সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবও যোগী সরকারের সমালোচনা করেছেন। উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গত ১৬ দিনের মধ্যে রাজধানীতে পুলিশ হেফাজতে এটি দ্বিতীয় মৃত্যু।

অখিলেশ যাদব আরও বলেন, “যে সরকার নাম পরিবর্তনে বিশেষজ্ঞ, তাদের উচিত এখন পুলিশ হেফাজতের নাম পরিবর্তন করে ‘অত্যাচার গৃহ’ করে দেওয়া উচিত। মৃতের পরিবারের প্রতিটি দাবি পূরণ করা উচিত, আমরা তাদের সঙ্গে আছি।” প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে যখন মৃতের (Death in Police Custody) পরিবারের সদস্যরা বিভূতি খন্ডে মন্ত্রীর বাসভবনের সামনে রাস্তা অবরোধ করেছিলেন। পরিবারের মহিলাদেরও রাস্তায় বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে, বিধায়ক যোগেশ শুক্লা মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। পরিবারকে আর্থিক সহায়তাও করেন তিনি। মোহিত পাণ্ডের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে তাঁর মৃত্যু (Death in Police Custody) হয়েছে। তবে পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। পুলিশ লকআপের একটি ভিডিওও প্রকাশ করেছে যেখানে মোহিত পান্ডে মেঝেতে শুয়ে আছে এবং এক বন্দিকে তার পিঠে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। এছাড়া আরেক বন্দিকে দেখা যায় পুলিশকে সাহায্যের জন্য ডাকাডাকি করতে।

মৃতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একটি হত্যা (Death in Police Custody) মামলা দায়ের করেছে। এফআইআরে পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের ছোট ছেলে মোহিতকে প্রথমে পুলিশ মারধর করে, তারপর লকআপেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের মা চিনহাট পুলিশ স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অশ্বিনী চতুর্বেদী এবং অন্যান্য অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি গুরুতর ধারায় মামলা করেছেন।

শুক্রবার, চিনহাট পুলিশ মোহিত এবং তার ভাই শোভারামকে ঝগড়া-বিবাদের অভিযোগে আটক করে। শনিবার সকালে চিনহাত কোতোয়ালীতে মোহিতের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। তাঁকে লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা (Death in Police Custody) যান। মোহিত চিনহাটের দেব রোডের উপরান এলাকার নিউ বস্তি জৈনাবাদ গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

Exit mobile version