AAP MLAs Resign: একের পর এক আপ বিধায়কের ইস্তফা! ভোটের আগে মুশকিলে কেজরিওয়ালের দল

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই সমস্যা বাড়ছে আম আদমি পার্টির। শুক্রবার একদিনেই দলের সাতজন বিধায়ক পদত্যাগ (AAP MLAs Resign) করেছেন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে ত্রিলোকপুরীর বিধায়ক রোহিত কুমার, মেহরৌলির বিধায়ক নরেশ যাদব, কস্তুরবা নগরের বিধায়ক মদন লাল, পালমের বিধায়ক ভাবনা গৌড় এবং জনকপুরির বিধায়ক রাজেশ ঋষি আম আদমি পার্টি ছেড়েছেন।

এই বিধায়কদেরই এই বিধানসভা নির্বাচনে দল টিকিট দেয়নি। বিজেপির বিএস জুন বিজওয়াসন থেকে এবং পবন শর্মা আদর্শ নগর থেকে পদত্যাগ (AAP MLAs Resign) করেছেন। দল তাদের সবাইকে টিকিট দিতে অস্বীকার করেছিল, যা তাদের ক্ষুব্ধ করে তুলছিল।

রোহিত কুমার তাঁর পদত্যাগ পত্রে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আপনাদের কথায় আস্থা রেখে আমার সমাজ একতরফাভাবে আপনাদের সমর্থন করেছে, যার ভিত্তিতে দিল্লিতে তিনবার আম আদমি পার্টির সরকার গঠিত হয়েছে। এর পরেও ২০ বছর ধরে ঠিকাদার ব্যবস্থা বন্ধ হয়নি, অস্থায়ী কাজ করা লোকদেরও স্থায়ী করা হয়নি। তাঁরা তাঁদের রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য আমার সমাজকে ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করেছেন।

বিধানসভার অধ্যক্ষ রাম নিবাস গোয়েলকে লেখা চিঠিতে লাল লিখেছেন, “আমি দিল্লি বিধানসভার সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার মেয়াদকালে আমি যে সমর্থন পেয়েছি তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। গৌর কেজরিওয়ালকে লেখা চিঠিতে লিখেছেন, ‘আমি আম আদমি পার্টির প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করছি। আপনার এবং দলের প্রতি আমার বিশ্বাস হারিয়ে গেছে।

জনকপুরির বিধায়ক রাজেশ ঋষিও আপ-এর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে পদত্যাগপত্রে (AAP MLAs Resign) লিখেছেন, “আন্না আন্দোলন থেকে জন্ম নেওয়া আম আদমি পার্টি দুর্নীতিমুক্ত দিল্লি গড়ে তোলার জন্য অরবিন্দ কেজ্রিওয়ালের দ্বারা গঠিত, যা এখন দুর্নীতিতে ভরা দলে পরিণত হয়েছে, আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ এবং দলের সমস্ত পদ থেকে পদত্যাগ করছি।”

পদত্যাগপত্রে নরেশ যাদব লিখেছেন, আমি সততার রাজনীতির জন্য আম আদমি পার্টিতে যোগ দিয়েছিলাম, কিন্তু আজ কোথাও সততা নেই। আমি ১০০ শতাংশ সততার সঙ্গে মেহরৌলিতে কাজ করেছি। দিল্লির মানুষ জানেন, আপনারা দুর্নীতির জালে আটকা পড়েছেন।

Exit mobile version