শনিবার পশ্চিমবঙ্গের ছটি বিধানসভা কেন্দ্রের সব কটিতেই তৃণমূলের দখলে (Dilip Ghosh)। এমনকী বিজেপির মাদারিহাট কেন্দ্রটি হাতছাড়া হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে বঙ্গ বিজেপির রাজনৈতিক অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে বিজেপির প্রাক্তন সংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, রাহুল গান্ধীর থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay) বড় নেতা। এই মন্তব্যের জেরে (Dilip Ghosh) নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বর্তমানে তৃণমূলের রাজনীতিতে একটা বিভাজন দেখা দিয়েছে। যার একাংশ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশ মন্ত্রী করার জন্য জোর সওয়াল করছেন। এই পরিস্থিতিতে দিলীপ ঘোষ বলেন, রাহুল গান্ধীর থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Bandyopadhyay)বড় নেতা। দিলীপ ঘোষের মন্তব্য যে যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। একদিকে, দিলীপ ঘোষের মন্তব্য তৃণমূলের একাংশকে যে উৎসাহিত করবে তা বলার অপেক্ষা করে। তবে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য বঙ্গ বিজেপির অস্বস্তি বাড়াবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Bandyopadhyay) রাহুল গান্ধীর থেকে ভাল নেতা মনে করি। রাহুল গান্ধী ৩০–৪০টা ভোট হেরেছেন। তিনি রিজেক্ট হয়ে গিয়েছেন একপ্রকার। তাঁর কথাবার্তার থেকে অভিষেকের কথাবার্তা অনেক বুদ্ধিদীপ্ত বলে মনে হয় আমার। নেতৃত্বে মানুষ স্বীকার করবে কিনা, পার্টি স্বীকার করে নেওয়া এক কথা। সময়ের স্বীকার করা অন্য কথা।’
দিলীপ ঘোষ কার্যত লোকসভার বিরোধী দলনেতার বুদ্ধিমত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এই প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি শুভঙ্কর সরকার বলেন, “ঠিকই বলেছেন। দিলীপবাবুর মেধা, তাঁর বুদ্ধিমত্তা নিয়েই নিজের মন্তব্য করেছেন। গরুর দুধে যিনি সোনা খুঁজে পান, তিনি কার মাথা থেকে কীরকম ব্রেনের ঘিলু খুঁজে পাবেন, সেরকম বিচার করবেন।” তবে বেফাঁস মন্তব্যের পরেই দিলীপ ঘোষ ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন। তিনি বলেন, “অভিষেক কাজ করছেন। জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক নেই। পারিবারিক পার্টির নেতা। পোলট্রি ফার্মে তৈরি করা নেতা। রাস্তায় লড়াই করে তো নেতা হননি। যখন পার্টি দায়িত্ব দেবেন, সামনে আসবেন, পরীক্ষা হবে। তখন মূল্যায়ন হবে। এখন তো গাছের ছায়ায় আছেন।”