Murder: বিবাদের জেরে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন ! গ্রেফতার স্বামী

 নিজস্ব প্রতিনিধি, নলহাটি:  পারিবারিক বিবাদের কারণে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নৃশংসভাবে স্বামীর হাতে খুন হলেন এক গৃহবধূ(৩৩)। মৃতার নাম গঙ্গেশ্বরী মণ্ডল। ঘটনাটি ঘটেছে নলহাটি দুই ব্লকের ভদ্রপুর গ্রামে।

 

জানা গিয়়েছে, বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি থেকে আলাদা হয়ে ভদ্রপুরে স্বামী স্ত্রী মিলে বসবাস শুরু করে। স্বামী প্রদীপ মণ্ডল দিনমজুর। স্ত্রী গঙ্গেশ্বরী মণ্ডল পরিচারিকার কাজ করতেন। প্রথম দিকে ভালো কাটলেও বছর দুই থেকে তাদের মধ‍্যে অশান্তি চরমে ওঠে। ছেলের সামনেই তাদের অশান্তি চলতো, বলে ছেলে প্রদ‍্যোৎ মণ্ডল জানায়। খুনের দায়ে মৃতার স্বামী প্রদীপ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে নলহাটি থানার পুলিশ।

 

মৃতার শাশুড়ি কমলা মণ্ডল জানান, “বিয়ের পর নলহাটি এক ব্লকের মকরুমপুরে শ্বশুরবাড়িতে তাঁদের কাছে থাকত ছেলে বৌমা। কিন্তু তারা পৃথকভাবে নলহাটি দুই ব্লকের অধীন ভদ্রপুরে একসাথে বাস করতে থাকে। তারপর তাদের নিজেদের মধ‍্যে অশান্তি শুরু হয়। আমি অনেকবার দুজনকে বুঝিয়েছি। শনিবার শুনতে পেলাম বৌমা খুন হয়েছে। ছেলেকে পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছে।”

 

এলাকা সূত্রে জানা গেছে, প্রদীপ মণ্ডল পরের জমিতে দিনমজুরি করতো। তার স্ত্রী পরের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতো। তাদের এক সন্তান। নাম প্রদ‍্যোত মণ্ডল। সে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। পরিচারিকার কাজ করে তার ভরণপোষণ করতো মা। বছর দুই থেকে স্বামী স্ত্রীর মধ‍্যে বিবাদ শুরু হয়। তিন মাস থেকে একই বাড়িতে স্বামী স্ত্রী পৃথগন্নে থাকতেন। শুক্রবার রথযাত্রা উপলক্ষ্যে একমাত্র ছেলে বাড়িতে ছিল না। সেই সময় তাদের দুজনের মধ‍্যে ফের অশান্তি হয়। তারপর ছুরির এলোপাতারি আঘাতে নিহত হন স্ত্রী।

 

ছেলে প্রদ‍্যোত জানায়, “রথযাত্রা উপলক্ষ্যে ভদ্রপুর থেকে দুটো গ্রাম পরে নতুনগ্রামে বন্ধুর দিদির বাড়িতে গেছিল সে। সকাল সাতটা নাগাদ বাড়ি ফিরে সে জানতে পারে মাকে খুন করেছে বাবা। গৃহবধূ দাদা সুখেন্দু কৃষ্ণ মন্ডল বলেন বিয়ে হওয়ার পর থেকে সবকিছু ঠিকঠাক ছিল, কিন্তু দু বছর থেকে তাদের অশান্তি চলছিল, এই অশান্তির কারণে স্বামীর হাতে মৃত্যু হল আমার বোনের।”