কলকাতায় শিল্পপতি সঞ্জয় সুরেকার বাড়িতে তল্লাশি (ED Raid) চালিয়ে চক্ষু চড়কগাছ ইডির আধিকারিকদের। বাড়ি থেকেই উদ্ধার (ED Raid) করা হল সাড়ে চার কোটি টাকা মূল্যের সোনা। চারটি বিলাসবহুল গাড়ির সন্ধান পাওয়া গেল (ED Raid) । সোমবার গভীর রাতে দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জের ম্যান্ডেভিলা গার্ডেনের বাড়ি থেকে নামী ইস্পাত সংস্থার কর্ণধার সঞ্জয় সুরেকাকে (ED Raid) গ্রেপ্তার করে ইডি। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানোর (ED Raid) পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। রাতেই তাঁকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।
ইডির অভিযোগ, সুরেকার সংস্থা ইস্পাত সংস্থাকে সামনে রেখে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ব্যাঙ্ক থেকে ছয় হাজার ২০০ কোটি টাকার ঋণ নেয়। ওই বিপুল টাকা বিভিন্ন ভুয়ো কম্পানি বা শ্যেল কম্পানির মাধ্যমে বাইরে পাচার করা হয়। মঙ্গলবারই শিল্পপতি সঞ্জয় সুরেকারকে আদালতে তোলা হয়। তাঁর আইনজীবী জামিনের আবেদন জানিয়েও পরে তা প্রত্যাহার করে নেন। তিনি বলেন, সঞ্জয় সুরেকা অসুস্থ। তিনি যেন নিয়মিত ওষুধ পান। তাঁকে যেন বাড়ির খাবার খেতে দেওয়া হয়। অন্যদিকে, ইডির তরফে জানানো হয়, ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাঙ্ক জালিয়াতির সঙ্গে এই শিল্পপতি যুক্ত।
সোমবার সকাল থেকেই কলকাতা ও বিভিন্ন জেলার অন্তত বারোটি জায়গায় ইডি তল্লাশি চালায়। এর মধ্যে গড়িয়াহাটের ম্যান্ডেভিলা গার্ডেনে সুরেকা পরিবারের বাড়িতে তল্লাশির উপর গুরুত্ব দেন ইডি আধিকারিকরা। এ ছাড়াও দমদম, বেলুড়, নিউ আলিপুর, হুগলির বৈদ্যবাটি, বড়জোড়া, বাঁকুড়ার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। জানা যায়, সুরেকা সহ মোট চার জন ইস্পাত শিল্পপতির বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়।
ইডি সূত্র জানা গিয়েছে, সুরেকা পরিবারের বিভিন্ন আলমারি থেকে প্রায় সাড়ে চার কোটি মূল্যের সোনায় গয়না পাওয়া গিয়েছে। একই সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি বাড়ির পরিচারিকা, ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ইডি সূত্রে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে যে টাকা পাচার করা হতো, সেগুলোর ডিরেক্টর সুরেকার বাড়ির পরিচারিকা, ড্রাইভাররা। ইডির জেরার মুখে তাঁরা জানান, তাঁরা কিছুই জানতেন না। সঞ্জয় সুরেকার নির্দেশ অনুযায়ী তাঁরা শুধু কাগজে সই করে দিতেন। এছাড়াও সুরেকা পরিবারের ৪০০টির বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে ইডির তরফে আদালতে জানানো হয়েছে।