Ejaculation: বীর্যপাত হলেই জরিমানা দিতে হবে ৮ লক্ষ টাকা ! আসছে নতুন বিল

প্রস্তাবিত বিল: ডিম্বাণুকে নিষিক্ত (Ejaculation) করার উদ্দেশ্য ছাড়াই বীর্যপাত- এই শারীরিক ক্রিয়াকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার দাবি জানিয়ে একটি নতুন বিল প্রস্তাব করেছে ওহাইও রাজ্যের স্টেট প্রতিনিধি অনিতা সোমানি ও ট্রিস্টান রাডের। তাদের মতে, বর্তমান আইন নারীর শরীরকে কেন্দ্র করে তৈরি হলেও পুরুষদের ক্ষেত্রে কোনও কঠোর আইন নেই।

ওয়াশিংটন:  সন্তানের পরিকল্পনা নেই অথচ কন্ডোম ব্যবহারেও অনীহা। এমনটা হলে এবার থেকে বীর্যপাত হলেই কড়া জরিমানা দিতে হবে। হ্যাঁ এমন বিলই আসতে চলেছে। এই বিল অনুযায়ী,সন্তানের পরিকল্পনা না থাকা সত্ত্বেও স্ত্রীর গর্ভে বীর্যপাত করলে ১০ হাজার ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় আনুমানিক ৮ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা) জরিমানা হতে পারে। এই বিলের শিরোনাম “কনসেপশন বিগিনস অ্যাট ইরেকশন”।
প্রথমবার অপরাধের জন্য পুরুষকে ১০০০ ডলার জরিমানা, দ্বিতীয়বার ৫০০০ ডলার এবং তার পরবর্তী বারের জন্য ১০,০০০ ডলার জরিমানা হবে।

বিলের উদ্দেশ্য:
এই প্রস্তাবিত বিলে বলা হয়েছে, যদি সন্তান ধারণের ইচ্ছা না থাকে এবং বীর্যপাত ঘটে, তবে সে ক্ষেত্রে পুরুষকে দায়ী করা হবে। অনিতা সোমানি বলেন, “যেহেতু গর্ভবতী হওয়া এককভাবে সম্ভব নয়, তাই যদি অবাঞ্চিত গর্ভধারণের জন্য শাস্তি দেওয়া হয়, তবে তার জন্য পুরুষকেই দায়ী করা উচিত।”

এতদিনের নীরবতা:
এটি এমন একটি প্রস্তাবনা, যা নারীদের শারীরিক স্বাধীনতার অধিকারকে সুরক্ষা দিতে অনেকেই মনে করছেন। এর আগেও মিসিসিপি স্টেট সেনেটর এই ধরনের বিল প্রস্তাব করেছিলেন।

ছাড়ের ব্যবস্থা:
তবে, বীর্যপাত সংক্রান্ত এই আইনে কিছু শিথিলতা রাখা হয়েছে। যেমন, পুরুষ যদি গর্ভনিরোধক বা বার্থ কন্ট্রোল ব্যবহার করেন, অথবা স্পার্ম ডোনেশন করেন, তখন তারা এই জরিমানা থেকে মুক্ত থাকবেন। এছাড়াও, হস্তমৈথুন বা এলজিবিটিকিউ প্লাস সদস্যদের যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনও জরিমানা হবে না।

এমন গুরুত্বপূর্ণ আইনি পরিবর্তনের প্রস্তাব বর্তমানে শিরোনামে। তবে, শেষ পর্যন্ত এই বিল বাস্তবায়িত হলে তার প্রভাব সমাজে কী হবে, তা সময়ই বলবে।

Exit mobile version