সোমবার সকালে শিয়ালদহ লাইনের একটি লোকাল ট্রেনে (Local train) আগুন লাগার ঘটনা ঘটল। ঘটনাটি ঘটেছে (Local train) হাসনাবাদ-মাঝেরহাট শাখায়। সণ্ডালিয়া স্টেশনে পৌঁছনোর আগে ট্রেনের (Local train) ব্রেক সিস্টেমে আগুন ধরে যায়। ট্রেনের (Local train) ভেতরে যাত্রীদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বেলিয়াঘাটা স্টেশন পার করার পর থেকেই ধোঁয়া দেখতে পান যাত্রীরা। ট্রেনটি সণ্ডালিয়া স্টেশনের কাছে পৌঁছতেই আগুনের ফুলকি লক্ষ্য করা যায়। বিপদের আশঙ্কায় যাত্রীরা তড়িঘড়ি স্টেশনে নেমে পড়েন। চালক তাৎক্ষণিকভাবে ট্রেন থামিয়ে দেন। ঘটনার খবর পেয়ে রেলের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ব্রেক সিস্টেমে আগুন লেগে আগুনের ফুলকি দেখা গিয়েছিল। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর ট্রেনটি আবার চালু হয় এবং যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়।
লোকাল ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনা শিয়ালদহ লাইনে আগেও ঘটেছে। গত বছর শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার একটি ট্রেনে চাকায় আগুন লেগে সংহতি স্টেশনের কাছে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। সেবারও দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হয়। যাত্রীরা ঘটনার সময় রেল কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করলেও, রেল সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এমন ঘটনায় বড় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে বলে যাত্রীদের একাংশের মত। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ঘটনার কারণ আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কয়েকদিন আগেই আগুন লাগার গুজবে বড় ধরনের দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল পুষ্পক এক্সপ্রেস। প্যান্টিকারের দুই চা বিক্রেতা ট্রেনে আগুন লেগেছে বলে গুজব ছড়ায়। ঘটনায় যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ট্রেনের চেন টেনে নামার চেষ্টা করেন। সেই উল্টোদিক থেকে কর্ণাটক এক্সপ্রেস আসছিল। ঘটনার জেরে বড় ধরনের দুর্ঘটনার মুখে পড়ে যাত্রীরা। কমপক্ষে আট থেকে ১০ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে ঘটনায়। জানা গিয়েছে, নিহত যাত্রীদের মধ্যে সাত জন নেপালের বাসিন্দা। নেপাল সরকার এই বিষয়ে নিশ্চিত করেছে।