পুনেতে গিলেন-ব্যারি সিনড্রোমে (Guillain Barre Syndrome) আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ১১১ জন। মহারাষ্ট্রে এই রোগে (Guillain Barre Syndrome) একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হলেও (Guillain Barre Syndrome) রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, কলকাতায় আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। তবুও, অনেকের মনেই প্রশ্ন— করোনার মতো এই রোগও (Guillain Barre Syndrome) কি এক শহর থেকে আরেক শহরে ছড়িয়ে পড়তে পারে? গিলেন-ব্যারি সিনড্রোম (জিবিএস) অবশ্য কোনও নতুন রোগ নয়। কলকাতা এবং বাংলায় আগেও sporadically এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে আক্রান্তের সংখ্যা কখনোই অতিমাত্রায় বাড়েনি।
স্বাস্থ্য সচিবের বিবৃতি:
মঙ্গলবার রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম এই বিষয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন। তিনি জানান, গিলেন-ব্যারি সিনড্রোম নতুন কোনও রোগ নয়। বাংলায় এমন রোগীদের সন্ধান অতীতে মিলেছে। তবে এই মুহূর্তে রাজ্যে ভয়ের কারণ নেই, কারণ গত এক মাসে নতুন কোনও আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি।
রোগটি কীভাবে হয়:
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সাধারণত পেট বা ফুসফুসে সংক্রমণের পর এই অটোইমিউন রোগ দেখা দিতে পারে। এই রোগের লক্ষণ হিসেবে হাত-পা অবশ হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রেই তা অ্যাকিউট ফ্ল্যাসিড প্যারালিসিসের কারণ হতে পারে। গুরুতর পরিস্থিতিতে রোগ প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে। মুখের পেশীগুলো প্যারালিসিস হয়ে যেতে পারে। হুয়ের তরফে জানানো হয়েছে, এই রোগে আক্রান্ত হলে বেশিরভাগ সময় শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, এই লক্ষণগুলো আক্রান্ত হওয়ার কয়েকদিন বা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পরিলক্ষিত হয়। প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে প্রচণ্ড দুর্বলতা দেখতে পাওয়া যায়। তবে এই রোগের লক্ষণ দেখা মাত্র চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ। হাসপাতালে ভর্তি করা প্রয়োজন।
চিকিৎসকদের পরামর্শ:
স্বাস্থ্য সচিবের মতে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। যে কোনও অসুস্থতা দেখা দিলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চিকিৎসকরা বলছেন, জীবনযাত্রায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এই রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। চিকিৎসকদের একাংশ বলেছেন, সাধারণ সতর্কতা গ্রহণ করে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পর্যন্ত জিবিএস প্রতিরোধ করা সম্ভব। ফোটানো জল, ফলমূল এবং শাকসবজি খাওয়ার আগে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ধোয়া, হাঁস-মুরগি এবং মাংস সঠিকভাবে রান্না করে খাওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে এই ধরনের রোগ থেকে কিছুটা সুরক্ষিত থাকা যেতে পারে। সতর্কবার্তা হিসেবে বিশেষজ্ঞরা সবাইকে পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণ, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।