Hathras Accident: হাথরাসে ভোলে বাবার সৎসঙ্ঘে পদপিষ্ট হয়ে ৫০ জনেরও বেশি ভক্তের মৃত্যু

উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে (Hathras Accident) সৎসঙ্ঘ চলাকালীন পদপিষ্ট হয়ে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সিকান্দ্রা রাওয়ের ফুলরাই গ্রামে এই সৎসঙ্গ অনুষ্ঠিত হয়। ঘটনার পর আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইটাহ মেডিকেল কলেজ থেকে মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়েছে, তবে অন্যান্য জায়গা থেকে তথ্য বেরোনোর পর এই সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

বলা হচ্ছে, ফুলরাই গ্রামে ভোলে বাবার সৎসঙ্ঘ অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলন। অনুষ্ঠান চলাকালীন তীব্র গরম ও আর্দ্রতার কারণে ভক্তদের মধ্যে ছোটাছুটির ফলে অনেকে পদদলিত হয়ে পড়েন। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়ে গেছে। আহতদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রতিভানপুরে, ভোলে বাবা নামে পরিচিত বাবা সাকার বিশ্ব হরির সৎসঙ্ঘ প্রতি মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়। শোভাযাত্রায় বিপুল সংখ্যক শ্রদ্ধালু অংশ নেন। ভক্তদের অধিকাংশই ইটা এবং হাথরাস থেকে এসেছিলেন।

দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে পৌঁছে ত্রাণের কাজ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। আহতদের উন্নত চিকিৎসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আলিগড় বিভাগের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে একটি কমিটি পুরো বিষয়টি তদন্ত করবে। এডিজি আগ্রা এবং কমিশনার আলিগড়ের সভাপতিত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আইজি শলভ মাথুর বলেছেন যে, সৎসঙ্ঘ অনুষ্ঠানে জায়গা ছোটো ছিল কিন্তু ভিড় অনেক বেশি হয়ে গিয়েছিল। তাপ এবং আর্দ্র আবহাওয়ার কারণে, অনেকে প্যান্ডেলের নিচে শ্বাসরোধ হয়ে পড়ে এবং এর ফলে পদদলিত হয়ে পড়ে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহতদের গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

এক টুইট বার্তায় যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘হাথরসের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা এবং আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী লক্ষ্মী নারায়ণ চৌধুরী এবং সন্দীপ সিং ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজিপি-কে ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইটার এসএসপি রাজেশ কুমার সিংহ জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ২৭টি মৃতদেহ ইটার হাসপাতালে আনা হয়েছে। এর মধ্যে ২৩ জন মহিলা, ৩ জন শিশু এবং ১ জন যুবক রয়েছে। নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।

Exit mobile version