ভরা সন্ধ্যায় মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল বেলঘড়িয়া (Attempt to murder)। সন্ধের সময় বেলঘড়িয়ার জমজমাট রাস্তায় স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে মারার (Attempt to murder) চেষ্টা করল স্বামী ও তাঁর বন্ধুরা। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ওই মহিলা (Attempt to murder) চিৎকার করতে থাকেন। প্রায় ৩০ মিনিট তিনি রাস্তায় পড়ে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পরে তাঁকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় (Attempt to murder) ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বাড়ি থেকে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন স্ত্রী। তিনি আত্মীয়ের বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন। কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগে তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে দেন স্বামী। পিছন ঘুরতে স্বামীর মুখটাই শুধু দেখতে পেয়েছিলেন স্ত্রী। বেলঘরিয়া কামারহাটি পৌরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের এই ঘটনায় আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কীভাবে ভর সন্ধেয় এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। জানা গিয়েছে, গৃহবধূর বাড়ি খড়দায়। তিনি বেলঘড়িয়ার আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিলেন। জানা গিয়েছেন, বেলঘড়িয়ায় তিনি আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিলেন বলে স্বামী হত্যার ছক কষেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, বেলঘরিয়ায় স্বামী–সহ তিনজন এসে তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে দেশলাই কাঠি দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। তাতেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে পড়েন ওই মহিলা। ওই মহিলা তীব্র চিৎকার করতে থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দারা চিৎকার শুনে ছুটে আসেন। মহিলাকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। প্রথমে ওই মহিলাকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় একটি বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মহিলার অবস্থা গুরুতর। তিনি জীবন ও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। বর্তমানে স্বামী ও তাঁর বন্ধুরা ফেরার। অভিযুক্তদের খুঁজতে পুলিশ তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। ঘটনায় শহর কলকাতায় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা প্রায় ৩০ মিনিট অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পড়ে ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সাংসারিক অশান্তির জেরে স্বামী তাঁর স্ত্রীকে খুন করার চেষ্টা করেছে। বন্ধুদের নিয়ে এসে প্রকাশ্য রাস্তায় স্ত্রীকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনা নজিরবিহীন। এই হাড়হিম করা ঘটনায় এলাকার মানুষজন শিউরে উঠেছেন।