২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (Champions trophy) দ্বিতীয় ম্যাচটি দুবাইতে টিম ইন্ডিয়া এবং বাংলাদেশের মধ্যে (IND Vs BAN) অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ তার স্পিন আক্রমণের জন্য পরিচিত। কিন্তু ২০শে ফেব্রুয়ারি ম্যাচের আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক নজমুল হাসান শান্ত ভারতের বিপক্ষে জয়ের জন্য তার পেস আক্রমণের উপর আস্থা প্রকাশ করেন। এর সবচেয়ে বড় কারণ ২২ বছরের একজন তরুণ বোলার। আমরা কথা বলছি নাহিদ রানার কথা, যিনি ক্রমাগত ১৫০-র বেশি গতিতে বল ছুঁড়তে সক্ষম। দুবাইয়ে ভারতীয় দলের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হতে পারে সে।
ভারতকে চাপে ফেলতে পারবে নাহিদ রানা?
বাংলাদেশ দল ভারতের (IND Vs BAN) চেয়ে দুর্বল হতে পারে। কিন্তু নাহিদ রানার রূপে এমন ব্রহ্মাস্ত্র রয়েছে যার ভিত্তিতে দুবাইয়ে তোলপাড় হতে পারে। ৬ ফুট ৫ ইঞ্চি লম্বা রানা গত বছরই অভিষেক হলেও তার গতির কারণে তিনি দ্রুত নিজের একটি আলাদা পরিচয় তৈরি করেছেন। বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম বল করার রেকর্ডও তাঁর দখলে। এই কৃতিত্ব গড়েছিলেন ১৫২ গতিতে বল করে। গত বছর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের সময় রানা তার গতি দিয়ে তাদের ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় ফেলেছিলেন।
দুবাইয়ের পিচে রানার উচ্চতা এবং গতি তাদের জন্য উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। এটি তাদের আরও বাউন্স দিতে পারে, যা তাদের দুবাইতে বিপজ্জনক করে তুলতে পারে। তবে, গত বছর টেস্ট সিরিজের সময় ভারত সফরে তিনি খুব একটা সফল হননি। তিনি প্রথম ইনিংসে ৮২ রানে ১ উইকেট এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ২১ রানে ১ উইকেট নেন। কিন্তু ভারতের ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হন। এখন দুবাইতে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি সহ টিম ইন্ডিয়ার অন্যান্য ব্যাটসম্যানদের জন্যও সে সমস্যা হতে পারে। বাংলাদেশের অধিনায়ক শান্তো আরও বলেন, রানার বোলিং ভারতের বিপক্ষে তাদের সাফল্যের চাবিকাঠি।
রানার রেকর্ড
নাহিদ রানার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খুব বেশি অভিজ্ঞতা নেই। কিন্তু তিনি একজন তরুণ পেস সেনসেশন হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত ৬ টেস্টে ২০ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ওয়ানডেতে ৩ ম্যাচে ৪ উইকেট পেয়েছেন তিনি। কিন্তু তার রেকর্ড খুব ভালো। তিনি ১৩ ম্যাচে ১৮.৪৬ গড়ে ৩০ উইকেট নিয়েছেন।
সাফল্যের সন্ধানে টিম ইন্ডিয়া
ভারতীয় দল ইতিমধ্যেই এই হুমকির বিষয়ে অবগত। তাই সে তার জন্য প্রস্তুত। প্রতিবেদন অনুসারে, টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটসম্যানদের স্টুলের উপর চড়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে বোলিং মেশিনে ১৫০-র বেশি গতি নির্ধারণ করে অনুশীলন করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, স্থানীয় বোলারদেরও শর্ট রান-আপ দিয়ে বল করতে বলা হয়েছে।