India-China Relations: বাণিজ্য, সীমান্ত, সরাসরি বিমান…, ভারত ও চিন এই ১০টি বিষয়ে একমত

ভারত ও চিনের মধ্যে (India-China Relations) দীর্ঘদিনের উত্তেজনার মধ্যে, এখন দুই দেশের সম্পর্কে নতুন গতি দেখা যাচ্ছে। ১৯-২০ আগস্ট ২০২৫ তারিখে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত চিনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং এস জয়শঙ্করের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সময়, উভয় দেশ সীমান্ত এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে, সরাসরি বিমান চলাচল পুনরুদ্ধার করতে, ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করতে এবং বাণিজ্য রুট পুনরায় চালু করতে সম্মত হয়েছে। এই পদক্ষেপগুলি ইঙ্গিত দেয় যে দুই দেশের সম্পর্ক একটি নতুন দিকনির্দেশনা পাচ্ছে। বৈশ্বিক দৃষ্টিকোণ থেকেও, ভারত ও চিনের মধ্যে (India-China Relations) নতুন পরিস্থিতি ইতিবাচক বলে মনে হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী মোদী এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন

চিনের বিদেশমন্ত্রী ভারত সফরে আছেন। মঙ্গলবার তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথেও দেখা করেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের একটি বার্তা দিয়েছেন এবং তিয়ানজিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এস জয়শঙ্কর ছাড়াও, ওয়াং ই দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সাথেও দেখা করেছেন।

সরাসরি ফ্লাইট শুরু হবে

বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হবে এবং ভিসা পুনরুদ্ধারের অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।

মানসরোবর যাত্রা চলবে

২০২৬ সালে তিব্বতের কৈলাস পর্বতে ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের তীর্থযাত্রা অব্যাহত রাখার এবং সম্প্রসারণের বিষয়ে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে। নাথুলা রুটটি যাত্রার জন্য পুনরায় খুলে দেওয়া হবে।

বিরল পৃথিবী চুম্বকের সরবরাহ পুনরায় চালু হবে

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ওয়াং ইয়ের মধ্যে আলোচনায় ভারতের তিনটি প্রধান দাবিতে একমত হওয়া হয়েছে এবং যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সার সরবরাহের সমস্যা সমাধান, বিরল পৃথিবী চুম্বক সরবরাহ এবং অবকাঠামো প্রকল্পের জন্য টানেল বোরিং মেশিন আমদানি শুরু করা।

সীমা নির্ধারণের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে

দুই দেশের মধ্যে তিক্ত সম্পর্কের (India-China Relations) উন্নতির জন্য পদক্ষেপ ঘোষণা করা হয়েছে। বৈঠকে LAC-তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা তৈরি, সামরিক উত্তেজনা কমানো এবং পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির নতুন উপায় খুঁজে বের করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সীমান্ত সীমানা নির্ধারণের জন্যও একটি সমাধান খোঁজা হচ্ছে। একটি বিশেষ দল দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য-সম্পর্কিত সমাধানের জন্যও কাজ করবে।

পর্যটনের প্রসার

দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের (India-China Relations) উন্নতির কারণে পর্যটনও বৃদ্ধি পাবে। ব্যবসা, মিডিয়া এবং অন্যান্য দর্শনার্থীদের জন্য ভিসা পরিষেবা পুনরুদ্ধারের বিষয়েও একটি সর্বসম্মত সমাধান পাওয়া যাবে। গত অক্টোবরে রাশিয়ার কাজানে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সাথে এনএসএ ডোভালের বৈঠকের পর, দুই দেশকে একটি নতুন দিকনির্দেশনা দেওয়ার বিষয়ে ঐক্যমত্য তৈরি হয়েছিল।

এই বিষয়গুলিতে ঐক্যমত্য

ভারত ও চিনের মধ্যে স্থিতিশীল ও দূরদর্শী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে কাজ করার এবং একে অপরের স্বার্থে কাজ করার বিষয়ে একমত হয়েছে। এটি ভারত-চিন সম্পর্কের (India-China Relations) উন্নয়নকে উৎসাহিত করবে।

দুই দেশ কূটনৈতিক অনুষ্ঠানে একে অপরের সাথে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে। ২০২৬ সালের ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনে ভারতকেও সমর্থন করবে চিন।

ভারত ও চিনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক (India-China Relations) স্থাপনের ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপন করা হবে। এই অনুষ্ঠানটি ২০২৫ সালে আয়োজন করা হবে, যেখানে উভয় দেশ একে অপরের সাথে সহযোগিতা করবে।

বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য দুই দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়গুলিতে যোগাযোগ স্থাপনের বিষয়ে একমত হয়েছে। উভয় দেশের নিরাপত্তার জন্য একটি নিয়ম-ভিত্তিক বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থা তৈরি করা এবং বহুমেরু বিশ্বকে উন্নীত করা হবে।

Exit mobile version