কিছুক্ষণের মধ্যেই পুরো ওয়ার্ড আগুনে (Jhansi Medical College Fire) পুড়ে যায়, যার ফলে ওয়ার্ডে পদদলিত হয়। উপস্থিত কর্মচারী ও পরিবারের সদস্যরা নবজাতককে নিয়ে বাইরে ছুটে যান। আগুনে পুড়ে মারা যায় ১০ শিশু।
মহারানি লক্ষ্মীবাই মেডিক্যাল কলেজের নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার সেন্টারে প্রথম অক্সিজেন কনসেনট্রেটারে আগুন(Jhansi Medical College Fire) ধরে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুরো ওয়ার্ড আগুনে পুড়ে যায়, যার ফলে ওয়ার্ডে পদদলিত হয়। উপস্থিত কর্মচারী ও পরিবারের সদস্যরা নবজাতককে নিয়ে বাইরে ছুটে যান। আগুনে পুড়ে মারা যায় ১০ শিশু।
ঝাঁসি মেডিকেল কলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের (Jhansi Medical College Fire)তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিশনার ও ডিআইজি মেডিকেল কলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্ত করবেন। ১২ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী।
ঘটনার পর সক্রিয় হন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ঘটনাস্থলে (Jhansi Medical College Fire) মুখ্যমন্ত্রী ডেপুটি সিএম ব্রিজেশ পাঠককে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে ঝাঁসিতে পাঠিয়েছেন। এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীও।
সুত্রের খবর, শুক্রবার গভীর রাতে মহারানী লক্ষ্মী বাই মেডিকেল কলেজের নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের এসএনসিইউ ওয়ার্ডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের (Jhansi Medical College Fire) জেরে ঝলসে যাওয়া এবং শ্বাসরোধে কমপক্ষে ১০টি নবজাতক শিশু মারা যায়। যে ওয়ার্ডে আগুন লেগেছিল সেখানে ৪৭ জন নবজাতক ভর্তি ছিল। রাত ১ টা পর্যন্ত যা খবর পাওয়া গিয়েছে যে, ওই ওয়ার্ড থেকে ৩১ জন নবজাতককে বের করা গিয়েছে।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকল বাহিনীর গাড়ি। সেনাবাহিনীকেও ডাকা হয়। আগুন নেভাতে ব্যস্ত সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি। দশ নবজাতকের মৃত্যুতে হাসপাতাল চত্বরে শোকের ছায়া নেমে আসে। নবজাতকের অভিভাবকরাও তাদের নবজাতককে বাঁচানোর জন্য অনুরোধ করছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, রাত পৌনে এগারোটার দিকে এসএনসিইউ ওয়ার্ড(Jhansi Medical College Fire) থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। এসময় উপস্থিত লোকজন হৈচৈ করেন। কেউ কিছু বোঝার আগেই আগুনের লেলিহান শিখা উঠতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওয়ার্ডে আগুন লেগে যায়। আগুন থেকে বাঁচতে হুড়োহুড়ি পড়ে যাওয়ায় সেখানে পদদলিত হয়।
নবজাতকদের বের করার চেষ্টা করা হলেও দরজায় ধোঁয়া ও আগুনের কারণে সময়মতো নবজাতকদের বের করা সম্ভব হয়নি। কিছুক্ষণ পর দমকলের ইঞ্জিন এলে নবজাতকদের বের করা সম্ভব হয়। খবর লেখা পর্যন্ত ওয়ার্ড থেকে ১০ নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে মৃত পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে পর্যন্ত উদ্ধারের কাজ।