Jhansi Medical College Fire: ঝাঁসি মেডিক্যাল কলেজে ১০ শিশুর মৃত্যুতে প্রত্যেককে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা

ঝাঁসি মেডিকেল কলেজ দুর্ঘটনায় (Jhansi Medical College Fire) নিহতদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করেছে ইউপি সরকার। আহতদের পরিবার ৫০ হাজার টাকা করে সাহায্য পাবে। এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

মহারানী লক্ষ্মী বাই মেডিকেল কলেজের স্পেশাল নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটে (এসএনসিইউ) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে(Jhansi Medical College Fire) দগ্ধ এবং শ্বাসরোধে দশ নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। বিভাগীয় কমিশনার বিমল কুমার দুবে জানান, যে ওয়ার্ডে আগুন লেগেছিল সেখানে ৫৫ জন নবজাতককে ভর্তি করা হয়েছে। ৪৫ নবজাতককে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে।

ঘটনার পর ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন ইউপি মুখ্যমন্ত্রী
মহারানী লক্ষ্মী বাই মেডিকেল কলেজের স্পেশাল নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটে (এসএনসিইউ) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে(Jhansi Medical College Fire) দগ্ধ এবং শ্বাসরোধে দশ নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। বিভাগীয় কমিশনার বিমল কুমার দুবে জানান, যে ওয়ার্ডে আগুন লেগেছিল সেখানে ৫৫ জন নবজাতককে ভর্তি করা হয়েছে। ৪৫ নবজাতককে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে। দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের প্রায় ১৫টি ইঞ্জিন। সেনাবাহিনীকেও ডাকা হয়।
সেনাবাহিনী ও ফায়ার ব্রিগেড মিলে আগুন নেভায়। শিশুদের সর্বোত্তম চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। আজ সকালে ডেপুটি সিএম ব্রিজেশ পাঠক মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছেছেন। ঝাঁসি মেডিক্যাল কলেজ দুর্ঘটনায় (Jhansi Medical College Fire)নিহতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছে সরকার। আহতদের পরিবার ৫০ হাজার টাকা করে সাহায্য পাবে।

দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের প্রায় ১৫টি ইঞ্জিন। সেনাবাহিনীকেও ডাকা হয়। সেনাবাহিনী ও ফায়ার ব্রিগেড মিলে আগুন নেভায়। শিশুদের সর্বোত্তম চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। আজ সকালে ডেপুটি সিএম ব্রিজেশ পাঠক মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছেছেন।
দশজন নবজাতকের মৃত্যুতে হাসপাতাল চত্বরে শোরগোল পড়ে যায়। অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের বাঁচাতে অনুনয়-বিনয় করতে থাকেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ওয়ার্ড থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। লোকজন কিছু বুঝে উঠার আগেই আগুন জ্বলতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন ওয়ার্ডটিকে গ্রাস করে, ফলে পদদলিত হয়। শিশুদের বের করে আনার চেষ্টা করা হলেও দরজায় ধোঁয়া ও আগুনের কারণে সময়মতো বের করা সম্ভব হয়নি। দমকলের ইঞ্জিন এলে নবজাতকদের বের করা সম্ভব হয়। বলা হচ্ছে, প্রথমে অক্সিজেন কনসেনট্রেটারে আগুন লাগে এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই পুরো ওয়ার্ড আগুনে পুড়ে যায়।
তদন্তের জন্য গঠিত ডেপুটি সিএম পাঠক মেডিক্যালে পৌঁছেছেন
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশে মেডিক্যাল কলেজে(Jhansi Medical College Fire) পৌঁছেছেন উপমুখ্যমন্ত্রী ও চিকিৎসামন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন মুখ্য সচিব স্বাস্থ্য সচিবও। দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য ঝাঁসির বিভাগীয় কমিশনার এবং পুলিশ মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার জন্য শোক প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী 12 ঘন্টার মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছেন।

পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে উপ-মুখ্যমন্ত্রী পাঠক বলেছেন, নবজাতক শিশুর মৃত্যু খুবই দুঃখজনক (Jhansi Medical College Fire)। আমরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে নবজাতকের মরদেহ শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। প্রথম তদন্ত প্রশাসনিক স্তরে করা হবে যা স্বাস্থ্য বিভাগ করবে এবং দ্বিতীয় তদন্ত করবে পুলিশ প্রশাসন। ফায়ার সার্ভিস টিমও এতে অংশ নেবে। তৃতীয় ম্যাজিস্ট্রেট তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হবে। কোনো ত্রুটি ধরা পড়লে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সরকার শিশুদের পরিবারের পাশে আছে। ফেব্রুয়ারি মাসে একটি ফায়ার সেফটি অডিট করা হয়েছিল। জুন মাসে একটি মক ড্রিলও করা হয়েছিল। কীভাবে এবং কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত প্রতিবেদন আসার পরই বলা যাবে।
লিঙ্ক

ঘটনাটি সামলে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী
ঘটনাটি সামলে নিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রিজেশ পাঠককে ঝাঁসিতে পাঠিয়েছিলেন সিএম যোগী। তার কিছু বিশিষ্ট স্বাস্থ্য সচিবও রয়েছেন। সিএম যোগী ১২ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন। কমিশনার ও ডিআইজি দুর্ঘটনার তদন্ত করছেন। তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আগুনে ১০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং ওয়ার্ডে ৫৪-৫৫ শিশু ভর্তি রয়েছে। উদ্ধারকৃত বাকি শিশুদের চিকিৎসা অব্যাহত রয়েছে।
-বিমল কুমার দুবে, বিভাগীয় কমিশনার

চিফ মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট শচীন মহর জানান, এনআইসিইউ ওয়ার্ডে ৫৪ জন শিশু ভর্তি ছিল। হঠাৎ অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটারের ভিতরে আগুন লেগে যায়(Jhansi Medical College Fire)। আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হলেও কক্ষটি অক্সিজেনযুক্ত হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। অনেক শিশু রক্ষা পেয়েছে। 10 শিশু মারা গেছে। আহত শিশুদের চিকিৎসা চলছে। শচীন মাহুর, চিফ মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত সোয়া এগারোটার দিকে এনআইসিইউ ওয়ার্ড থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। এসময় উপস্থিত লোকজন হৈচৈ করেন। কেউ কিছু বোঝার আগেই আগুনের লেলিহান শিখা উঠতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওয়ার্ডে আগুন লেগে যায়। সেখানে পদদলিত হয়।
নবজাতক শিশুদের বের করার চেষ্টা করা হলেও দরজায় ধোঁয়া ও আগুনের কারণে সময়মতো শিশুদের বের করা সম্ভব হয়নি। কিছুক্ষণ পর দমকলের ইঞ্জিন এলে নবজাতকদের বের করা সম্ভব হয়। ওয়ার্ড থেকে ১০টি নবজাতক শিশুর মরদেহ বের করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পরিবারের সদস্যদের কান্নার ভিড় জমেছে। উদ্ধার কাজ চলছিল।যেসব শিশুকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে তাদের চিকিৎসা চলছে।

চিকিৎসা শক্তি বন্ধ
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সহ সমস্ত প্রশাসনিক আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে সেনাবাহিনীর দমকলের গাড়ি। মেডিকেল কলেজের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩০ জনের বেশি শিশুকে উদ্ধার করে নিরাপদে বের করা হয়েছে।

Exit mobile version