আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের নৃশংস (Justice For RG Kar) ঘটনায় দোষীর সাজা ঘোষণা এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা (Justice For RG Kar)। অধিকাংশই চায় দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তি, অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ড (Justice For RG Kar)। সোমবার, সাজা ঘোষণার (Justice For RG Kar) ঠিক আগে জেলা সফরে রওনা দেওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেই দাবির (Justice For RG Kar) সঙ্গে একমত প্রকাশ করলেন।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সবাই চায় দোষীকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হোক। আমিই প্রথম এই দাবি তুলে পথে নেমেছিলাম। পুলিশ খুব ভালো কাজ করেছে। তবে বিচারকদের সাজা ঘোষণা করতে কিছুটা সময় লাগে। তাঁদের সবদিক খতিয়ে দেখতে হয়।”
গত বছরের ৯ আগস্ট, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ওই নৃশংস ঘটনার পর তিনদিনের মধ্যেই মৃত চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মমতা। দ্রুত তদন্ত ও সুবিচারের আশ্বাস দেন। পুলিশকে সময়সীমা বেঁধে দেন অভিযুক্ত গ্রেপ্তারের জন্য।
পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার নেয় সিবিআই। তদন্ত শেষ করে মাত্র ১৬৪ দিনের মাথায় সাজা শোনানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের সাজা হতে পারে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
তদন্ত শুরুর সময়ই মুখ্যমন্ত্রী ও মহিলা তৃণমূল সদস্যরা দোষীর মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে পথে নেমেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি ফাঁসির দাবিতে রাস্তায় নেমেছিলাম। অনেকেই এই দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছেন। রাজ্যে বেশ কিছু মামলায় মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা হয়েছে। পুলিশের কাজ প্রশংসনীয়। তবে শেষ সিদ্ধান্ত বিচারকের।”
এদিন চারদিনের জেলা সফরে রওনা হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুর্শিদাবাদে সরকারি অনুষ্ঠান শেষে তিনি মালদহ পৌঁছাবেন। এরপর আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার সফর রয়েছে তাঁর। আরজি কর ধর্ষণ ও খুন মামলার রায় শুধু রাজ্য নয়, গোটা দেশের নজরে। দোষীর শাস্তি সুবিচারের মাপকাঠি হিসেবে প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইতিমধ্যে সঞ্জয় রায়কে আদালতের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গ্রিন করিডর করে তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শিয়ালদা আদালতে ব্যাপক পরিমাণে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।