Kanti Ganguly: এবারেও অন্যথা নয়! ঝড়ের আগে পৌঁছে গেলেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়

সুন্দরবনের মানুষজনের একটাই কথা বলেন, ঝড়ের আগে কান্তি গাঙ্গুলি (Kanti Ganguly) আসেন। দানার ক্ষেত্রেও অন্যথা হল না। পৌঁছে গেলেন কান্তি গাঙ্গুলি (Kanti Ganguly)। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে ভোর পাঁচটার মধ্যে ওড়িশার ধামরা ও ভিতরকণিকায় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  দানা হানা দেওয়ার আগেই মুহূর্তেই এসে হাজির সিপিএম নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় (Kanti Ganguly)।

প্রায় প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড়ের মুখোমুখি হতে হয় সুন্দরবনকে। তাই এলাকার মানুষ যেমন ঝড়কে চেনে তেমনি জানেন, ঝড়ের ঠিক আগে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় এসে উপস্থিত হবেন। হলও তাই। দানা পৌঁছে যাওয়ার আগে সুন্দরবনের উপকূল অঞ্চলের রায়দিঘিতে পৌঁছে যান কান্তি গাঙ্গুলি। বৃহস্পতিবার তিনি রায়দিঘির কুমোরপাড়া অঞ্চলে চলে যান। ঝড় মোকাবিলা করতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা তিনি খতিয়ে দেখেন। প্রান্তিক মানুষদের দুঃখের কথা শোনেন। ঝড়ের কারণে সতর্কবার্তাও দেন।

 

আগের মতো কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের দাপট নেই। তবে তিনি সাধারণ মানুষদের মধ্যে এখনও আগের মতো রয়েছেন। পাশে থেকেছেন মৎস্যজীবীদের। সাধারণ মানুষের বিপন্নতার খবর শুনে বার বার তিনি ছুটে যান। মন্ত্রীর পদ বা বিধায়কের পদ তাঁর নেই। তবে তাঁর কাছে আছে শুধু মানুষের ভালোবাসা। আগের মতো বয়স নেই। নেই শরীরের শক্তি। তবে সমস্ত কিছু অগ্রাহ্য করে বার বার তিনি মানুষের ডাকে ছুটে গিয়েছেন। এখনও তিনি যান।

 

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, “প্রশাসন যোগাযোগ করেনি। করবেও না। তবে প্রতিবার আমি থাকি। যদি রাতে ঝড় আসে। আর পূবের হাওয়া হয় তাহলে নদী বাঁধ টপকে জল ঢুকবে। ভাঙবে।” এও অভিযোগ করে বললেন, “বাঁধের কাজ সেচ দফতর তো করে। ১০০ দিনের কাজে নদী বাঁধে মাটি দেওয়া হয়। গত চার পাঁচ বছর ধরে সেই মাটি দেওয়া হয়নি।”

 

Exit mobile version