কেষ্টপুরে গৃহবধূ খুনের (Kestopur Murder) ঘটনায় তদন্তে নামার চার ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বিধাননগর থানার পুলিশ। নাগেরবাজার এলাকা থেকে কৌশিক সাহা নামে এক যুবককে (Kestopur Murder) গ্রেফতার করে পুলিশ৷ ফেসবুক থেকে দুজনের পরিচয় (Kestopur Murder) । সেখান থেকেই ঘনিষ্ঠতা হয়। সেখান থেকেই প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে জানা গিয়েছে (Kestopur Murder) । জেরায় ধৃত কৌশিক সাহা দাবি করেছে, গৃহবধূকে তিনি কালীঘাটে গিয়ে বিয়ে করেছেন (Kestopur Murder) ।
জেরায় কী বললেন ধৃত কৌশিক সাহা?
পুলিশি জেরায় ধৃত কৌশিক সাহা বলেন, গত দু বছর ধরে তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল৷ ফেসবুকেই ওই গৃহবধূর সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর৷ এর পর সেই সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে৷ দু জনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও তৈরি হয়৷ জেরায় ধৃত কৌশিক আরও দাবি করেছে, কালীঘাটে গিয়ে বিয়েও করেছিলেন তাঁরা৷ অভিযুক্ত কৌশিক পাশাপাশি জানিয়েছেন, স্বামী ও সন্তানের কারণ দেখিয়ে প্রেমিকা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন। কিন্তু তিনি কোনওভাবেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন না। ধৃত কৌশিক সাহা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে প্রেমিকার স্বামী অফিসে বেরিয়ে যাওয়ার পর তিনি কেষ্টপুরের ফ্ল্যাটে যান। সেখানে দুজনের মধ্যে তীব্র ঝগড়া শুরু হয়। সেই সময় ওই গৃহবধূ জানিয়ে দেন, কোনওভাবেই তিনি সম্পর্কে থাকবেন না। সেই সময় রাগের বশে কৌশিক তাঁর প্রেমিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে দেহ বিছানাতেই ফেলে রেখে যান। বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। ওই মহিলার স্বামীর কাছে বাড়ির আর একটি চাবি ছিল। সেই চাবি দিয়ে দরজা খুলে তিনি তাঁর স্ত্রীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
ওই গৃহবধূর স্বামী জানিয়েছেন, কাজে বের হওয়ার পর বেলা ১১টা নাগাদ তাঁর স্বামীকে ফোন করেন। কিন্তু তাঁর স্ত্রী ফোন তোলেননি। তদন্তে নেমে স্ত্রীর মোবাইল ফোন থেকে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পান। সেখান থেকেই কৌশিকের হদিশ পাওয়া যায়। সিসিটিভি ফুটেজ এবং মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করেও ঘটনাস্থলে কৌশিকের উপস্থিতির প্রমাণ মেলে। শুক্রবার রাতেই কৌশিককে বিধাননগর থানার পুলিশ গ্রেফতার করে।