Kolkata Police: টালা থানার প্রাক্তন ওসির গ্রেফতারের পর জোট বাঁধছে কলকাতা পুলিশ! গড়ে তোলা হবে তহবিল

টালা থানার ওসিকে শনিবার সিবিআই আরজি করে তরুণীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা তথ্য বিকৃত করা অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। আজ রবিবার পুলিশ (Kolkata Police) ক্লাবে কর্মরত পুলিশ কর্মী এবং অবসর প্রাপ্ত পুলিশ কর্মীদের এই নিয়ে বৈঠক হয় বলে জানা গিয়েছে। অভিজিৎ মণ্ডলের হয়ে তহবিল গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

পুলিশের (Kolkata Police) বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে? জানা গিয়েছে, জামিন না হওয়া পর্যন্ত অভিজিৎ মণ্ডলের প্রত্যেক হাজিরার দিন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদ মর্যাদার আধিকারিক থেকে ইন্সপেক্টর এবং সাব ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিকরা আদালতে উপস্থিত থাকবেন। অভিজিতের মনোবলে ঘাটতি না হয় সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিবারকে সবরকম সহায়তা করা এবং পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয় বলে জানা গিয়েছে। আরজি কর কাণ্ডে মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। সেই কারণে অভিজিৎ মণ্ডলের পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি একটি মিডিয়া সেল তৈরি করা হবে বলেও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যাঁরা সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে বলবেন, অভিজিৎ মণ্ডল নিরুদ্দেশ।  জানা গিয়েছে, পুলিশ (Kolkata Police) কর্মীদের প্রতিনিধিদের টেলিভিশনের বিভিন্ন টক শোয়ে পাঠানো হবে। যাতে কলকাতা পুলিশের কথা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। অভিজিৎ নির্দোষ এবং পরিস্থিতির শিকার। সেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে গোটা পুলিশ পরিবার একজোট হয়ে লড়াই করার পরিকল্পনা করছে।

অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ সিবিআই আদালতে পেশ করেছে। অভিজিৎ মণ্ডল ঘটনার দিন সকাল ১০টায় খবর পেলেও কেন এত দেরিতে এফআইআর করল বলে অভিযোগ উঠেছে। ওসির নেতৃত্বে তথ্য প্রমাণ লোপাট করা হতে পারে বলে অভিযোগ উঠেছে। এত ঘণ্টা পরে FIR কেন দায়ের করা হল, সেই নিয়েও একাধিক সন্দেহ সামনে এসেছে। ওই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বহু প্রমাণ নষ্ট করা হয়েছে বলে অভিযোগ।পাশাপাশি সিবিআইয়ের আইনজীবী জানিয়েছেন, ‘পুলিশ ও সিবিআই-এর মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই, আমরা সত্যি খোঁজার চেষ্টা করছি, পুলিশ বলে নয়, সন্দেহভাজন বলেই টালা থানার ওসিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

Exit mobile version