কলকাতা (Kolkata) শহরে হেলে পড়া বাড়ির সংখ্যা নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই কলকাতা (Kolkata) পুরসভা ৩০টি এমন বাড়ির খোঁজ পেয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সম্প্রতি বাঘাযতীনের হেলে পড়া বাড়ির ঘটনায় নড়েচড়ে বসে পুরসভা (Kolkata)। এরপর ট্যাংরা ও তপসিয়ায় একাধিক হেলে পড়া বাড়ির খবর সামনে আসে (Kolkata) । এর মধ্যেই ইঁদুরের উপদ্রবে (Kolkata) বাড়ি ধসের আশঙ্কা নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে টালিগঞ্জের চারুচন্দ্র অ্যাভিনিউ থেকে এক ব্যক্তি মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে ইঁদুর নিয়ে একটি ভয়াবহ অভিযোগ তোলেন। তিনি জানান, তাঁর বাড়ির পাশের গোবিন্দ ব্যানার্জি লেনে একটি পরিত্যক্ত দোতলা বাড়ি জঞ্জালে ভর্তি। সেই বাড়িতে ইঁদুরের বাসা। অভিযোগ অনুযায়ী, ইঁদুরগুলি বাড়ির নিচের অংশ এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে যে তা যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে।
এই অভিযোগ শোনার পর মেয়র দ্রুত পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ বিভাগকে ওই বাড়ি পরিষ্কার করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি, কাচের গুঁড়ো ছড়িয়ে ইঁদুরের উপদ্রব দমনের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।
ইঁদুরের পাশাপাশি মশা-মাছি এবং জমা জলের সমস্যাও ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে আলোচনায় উঠে আসে। ৬১ নম্বর ওয়ার্ডের এলিয়ট রোড এলাকার বাসিন্দা শীলা দে জানান, তাঁর বাড়ির নিচে থাকা জল নিকাশী ব্যবস্থার পাইপ ভেঙে যাওয়ার ফলে জমা জলে দুর্গন্ধ ও মশা-মাছির উপদ্রব বেড়েছে। মেয়র দ্রুত সমস্যার সমাধানের নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট বিভাগকে।
শহরের ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের ক্রিস্টিনপাড়ায় ইঁদুরের উপদ্রবের সমস্যা রয়েছে। এছাড়া, রডন স্ট্রিট ও ময়রা স্ট্রিটের মাঝখানে রাস্তায় ধসের কারণ হিসেবেও ইঁদুরের ভূমিকা সন্দেহ করা হচ্ছে। পুরসভা সূত্রে জানা গেছে, এর আগে মেয়র পারিষদের এক সভায় ইঁদুরের উপদ্রব নিয়ে তুমুল আলোচনা হয়েছিল।
কলকাতা পুরসভা ইঁদুর দমনে কাচের গুঁড়ো ছড়ানোর মতো পদ্ধতি প্রয়োগ করার পরিকল্পনা নিয়েছে। পাশাপাশি শহরের পরিত্যক্ত বাড়ি ও জঞ্জাল সরানোর কাজেও জোর দেওয়া হচ্ছে।
হেলে পড়া বাড়ি ও ইঁদুরের উপদ্রব একসঙ্গে শহরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে পুরসভা দ্রুত সমস্যাগুলির সমাধানে পদক্ষেপ নিচ্ছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আরও পরিকল্পিত ও কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।