ভুয়ো পরিচয় (Fraud) এবং নথি ব্যবহার করে যাদবপুরের কেপিসি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নের নাম করে প্রায় ১৫ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের (Fraud) নাম রাজীব ঘোষ। অভিযোগের ভিত্তিতে (Fraud) লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্তে নেমে শুক্রবার বিকেলে তাকে গ্রেফতার করেছে। ধৃত রাজীব (Fraud) ঘোষ কলকাতার কড়েয়া থানা এলাকার তারক দত্ত লেনের বাসিন্দা।
তদন্তে উঠে এসেছে, রাজীব একটি ভুয়ো ঠিকাদারি সংস্থা তৈরি করে। সেই সংস্থার নামে ভুয়ো নথি বানিয়ে কেপিসি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে কাজের বরাত নেয়। এরপর সেই নথি ব্যবহার করেই হাসপাতালের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ অনুযায়ী, রাজীব বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মোট ১৪ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা স্থানান্তর করে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এই টাকা বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে সরিয়ে দেওয়ার পর খরচের হিসাব গোপন করতে সে আরও জালিয়াতি করেছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ভুয়ো নথি বাজেয়াপ্ত করেছে।
শনিবার ধৃত রাজীবকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। মামলার সরকারি আইনজীবী সাজ্জাদ আলি খান জানান, রাজীবকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পুলিশ জানিয়েছে, রাজীব ঘোষের প্রতারণার পদ্ধতি অত্যন্ত জটিল। ভুয়ো নথি বানিয়ে একাধিক স্তরে জালিয়াতি করেছে সে। প্রতারণার সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কি না, তা জানার জন্য পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এই ঘটনায় কেপিসি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের ভূমিকাও তদন্তের আওতায় রয়েছে। পুলিশ নিশ্চিত করতে চাইছে, কীভাবে একটি বড় প্রতিষ্ঠানে এত বড় অঙ্কের টাকা প্রতারণার শিকার হলো।
১৫ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার এই ঘটনা শুধু যাদবপুর নয়, সারা কলকাতার নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। ভবিষ্যতে এমন প্রতারণা আটকাতে প্রশাসনের আরও কঠোর নজরদারি প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একটা বড় প্রতিষ্ঠান যদি এভাবে প্রতারণার কবলে পড়ে, সেক্ষেত্রে ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান বা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়, সেই নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।