ফের একবার কুণাল ঘোষ জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন (Hunger Strike) তুলে নেওয়ার আহ্বান জানান। সোশ্যাল মিডিয়ায় কুণাল ঘোষ (Hunger Strike) বলেন, ‘অকারণ রাজনীতি করবেন না। আরও ৭-৮ দিন জল খেয়ে চলে যাবে, কিন্তু শরীরকে চাপ দেবেন না।’ বার বার কুণাল ঘোষ জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনকে তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন। এবারও অনশন (Hunger Strike) তুলে নেওয়ার আহ্বানের বার্তা দিয়েও কটাক্ষ করেন।
১০ দফা দাবি নিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা অনশন করছেন। ইতিমধ্যে অনশনের পাঁচ দিন পার হয়ে গেছে। অষ্টমীর দিন বিকালে ধর্মতলার অনশন মঞ্চে আসছেন আরভি অশোকন। বিকেলে ক্রিক রো-র IMA-র অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করবেন তিনি। অন্যদিকে, অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন সিনিয়র চিকিৎসকরা।
উত্তরবঙ্গে অনশনরত দুই জুনিয়র চিকিৎসকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। ১২২ ঘন্টার বেশি সময় ধরে অনশনে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের ২ জুনিয়র চিকিৎসক। ঘন ঘন তাঁদের শারীরিক অবস্থার পরীক্ষা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে তাঁদের জন্য ICU প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে হাসপাতালে ICU প্রস্তুত রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, অনিকেতের অবস্থা কিছু স্থিতিশীল হলেও অবস্থা উদ্বেগ জনক।
আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, লিভার ঠিকমতো কাজ করছে না বলে আশঙ্কা। সেই সঙ্গে কিডনির সমস্যাও রয়েছে। আগে থেকেই রক্তচাপ সংক্রান্ত সমস্যা ছিল অনিকেতের। তার জেরেই বেড়েছে জটিলতা। সিসিইউতে ডাক্তারদের কড়া নজর অনিকেতের উপর। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়াচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেতের শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে। বৃহস্পতিবার রাতে অতিরিক্ত ঘাম ও হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়ার কারণে দ্রুত জুনিয়ক চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অষ্টমীর দিন সন্ধেবেলা ধর্মতলার অনশন মঞ্চে মহা সমাবেশের ডাক দিয়েছেন। এই সমাবেশে সাধারণ মানুষকে যোগদানের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। সমাবেশের পর বিভিন্ন জায়গায় বিলি করা হবে জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ দফা দাবি-সম্বলিত লিফলেট।