নেতাজীনগরে কাস্তে হাতুড়ির রক্তদান শিবিরে ফুটল ঘাস ফুল !

নেতাজি নগরে রক্তদান শিবিরে হাজির সুজন চক্রবর্তী, মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস, এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

মদনমোহন সামন্ত, কলকাতা, 17 এপ্রিল :হিংসা বিবাদ হোক, হোক বিদ্বেষ, সবকিছু হয়ে যাক একদম শেষ! মানুষ মানুষের জন্য হোক সে কথাই শেষ! বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব একদিকে কেড়ে নিচ্ছে অগণিত প্রাণ। অন্যদিকে তারই মোকাবিলার জন্য মানুষ জোটবদ্ধ হচ্ছে রাজনীতির ভেদাভেদ, হানাহানি, কুটকাচালি ভুলে। মানুষ হয়ে সবাই একভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চাইছেন। এমন সংকটকালেই তো মানুষের মনুষ্যত্ব প্রকাশ করার সময়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলে আসছেন সেই কথা। মানবতা রক্ষা করতেই যেন তারই কথা সফল করার জন্য বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী আয়োজিত রক্তদান শিবিরে পৌছলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সহ এলাকার কাউন্সিলররা। ঘনিষ্ঠরাও অনেকে জানতেন না মন্ত্রীরা আসবেন। করোনা ভাইরাস-এর ঠেলায় রক্তদান শিবিরগুলি প্রায় লাটে ওঠার জোগাড়। চরম সঙ্কটে পড়েছেন যাদের রক্তের প্রয়োজন, যাদের প্লেটলেট-এর প্রয়োজন, এমন সব সংকটাপন্ন রোগীরা। তাই কিছুটা প্রয়োজন মেটাবার তাগিদে সিপিএমের টালিগঞ্জ এরিয়া কমিটি শুক্রবার সকালে নেতাজি নগর মোড়ে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে বিধিসম্মতভাবে সমস্ত নিয়ম মেনে।

রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরে শিবিরের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন সুজন চক্রবর্তী। রাজ্য সরকারের তরফে সে আবেদন মঞ্জুর করে মোবাইল ভ্যান পাঠিয়ে দেওয়া হয় রক্তদান শিবিরের জন্য । বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন গাইডলাইন অনুযায়ী পাঠানো হয় মোবাইল ভ্যান। শিবিরে তিরিশ জন রক্তদান করেন। প্রসঙ্গত, বর্তমান সঙ্কটকালীন পরিস্থিতিতে রক্তদান শিবির করতে হলে তা মোবাইল ভ্যানে করার বিধি রয়েছে। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান, এই কর্মসূচিতে তিনি তাঁর সাধ্যমত বামেদের পাশে থাকছেন। রাজনীতির প্রসঙ্গ পাশে সরিয়ে মানবতার প্রশ্নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। ভাল কাজে যেমন নিন্দুকের অভাব হয় না, তেমনই এই ঘটনাটিকে আড়ালে-আবডালে রাজনৈতিক মোড়ক দেওয়ার চেষ্টা করেছে কোনও কোনও মহল। তাদের মন্তব্য, বামেদের হাতের ব্যাটন কেড়ে নেওয়ার জন্যই তৃণমূল সেখানে হাজির হয়েছিল। কিন্তু বিতর্ক এড়াতে এসব মন্তব্য নেতৃস্থানীয়রা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন ।

Google news