হালিশহরে দলীয় প্রচারে বেরিয়ে নৃশংস খুন বিজেপি কর্মী, জখম ৬

নিজস্ব প্রতিনিধি,বীজপুরঃ ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের হালিশহর বারেন্দ্রগলি এলাকায় এক বিজেপি কর্মীকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ উঠল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের ওই হামলায় আরও ছ’জন বিজেপি কর্মী জখম হয়েছেন এবং এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁরা প্রত্যেকেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। এই খুনের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। মৃত বিজেপি কর্মীর নাম সৈকত ভাওয়াল (৩২)। হালিশহর পুরসভার অস্থায়ী কর্মী সৈকত হালিশহর বারেন্দ্রগলি ডোমপাড়ার বাসিন্দা।

রাজ্য জুড়ে চলছে বিজেপির গৃহ সম্পর্ক অভিযান।ছোট, বড় কিংবা মাঝারি সর্ব স্তরের বিজেপি নেতারাই তাঁদের দলীয় কর্মীদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে দলীয় কর্মসূচী চালাচ্ছেন। সেইমত শনিবার বিকেলে হালিশহর পুরসভার ৬ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির গৃহ সম্পর্ক অভিযান চলছিল। সেখানে সৈকত সহ বিজেপির অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা বাড়ি বাড়ি লিফলেট বিলি করছিলেন। অভিযোগ, সন্ধ্যা নামতেই তৃণমূলের ২৫-৩০ জন কর্মী লাঠি, রড নিয়ে এসে আচমকা হামলা চালায়।

 

 বীজপুর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে সৈকত সহ জখমদের কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালে সৈকতকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তারপরই উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপি কর্মীরা হাসপাতালের বাইরে পুলিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
বিজেপির বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উমাশঙ্কর সিং, বীজপুরের বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় সহ অনেকেই কল্যাণী হাসপাতালে যান। তাঁরা জখমদের সঙ্গে দেখা করেন। উমাশঙ্করবাবু সাংবাদিকের বলেন, এটাই শেষ রক্ত। এরপর যদি বিজেপি কর্মীদের রক্ত ঝরে, তাহলে আমরাও আগুন লাগিয়ে দেব।
আর সহ্য করব না। শুভ্রাংশু রায় বলেন, খুনের বদলা আর একটা মায়ের খোল খালি করা- এটা আমি মুখ দিয়ে বলতে পারব না। কিন্তু, বদলা হবেই। যার কোল খালি হল, সে ছেড়ে দেবে না। তাই আমরাও তৈরি হচ্ছি। বৃহত্তর আন্দোলন হবে।
তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির বীজপুরের চেয়ারম্যান সুবোধ অধিকারী বলেন, দেখুন যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। তবে, এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের কোনও সম্পর্কই নেই। যতদূর শুনেছি, এটা ওদের নিজেদের দ্বন্দ্ব। যে দুষ্কৃতীরা এই খুন করেছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা হোক আমরাও চাই, আমরাও মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের পাশে রয়েছি।

Google news