Maoist Poster: একেবারে পুরোনো কায়দায় ৭ দিন বাজার বন্ধের নির্দেশ মাওবাদীদের, তীব্র চাঞ্চল্য শালবনিতে

 

নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর: আশঙ্কা হয়তো সত্যি হতে চলেছে জঙ্গলমহলে। সেই এক দশক আগের পুরোনো কায়দায় পোস্টার পড়তে শুরু হওয়ায় ফের ‘মাওবাদী’ কার্যকলাপ বাড়ার ইঙ্গিত গোটা জঙ্গল মহল জুড়ে। বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, চন্দ্রকোণার পর এবার ‘মাওবাদী’ পোস্টার উদ্ধার হল পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির পিরাকাটায়।

একেবারে পুরোনো কায়দায় ৭ দিনের বাজার বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে ‘মাওবাদী’ পোস্টারে। আর সেই পোস্টার ঘিরেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

বুধবার সাতসকালে রীতিমতো হুমকি পোস্টার উদ্ধার পিড়াকাটা বাজারের ওপর। একদিকে পোস্টারে কিষানজির মৃত্যুর বদলার দাবি জানানো হয়েছে।পাশাপাশি হুমকি দেওয়া হয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের।

 

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি এবং এলাকার কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর নাম উল্লেখ করে ‘মাওবাদী’ পোস্টার উদ্ধার হয়েছিল চন্দ্রকোণায়। যা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য় ছড়ায়। কালো কালিতে লেখা সেই পোস্টারে লেখা ছিল, চন্দ্রকোণার তৃণমূল নেতাদের কাটমানি ফেরত দিতে হবে। একইসঙ্গে লেখা ছিল, ‘মাওবাদী ঐক্য জিন্দাবাদ, কিষাণজি অমর রহে’।

 

এর পাশাপাশি মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বাঁকুড়ার দুই জায়গা থেকেও গতকাল উদ্ধার হয় ‘মাওবাদী’ পোস্টার। বাঁকুড়ার রাইপুর থানার খয়েরবনি গ্রামে গতকাল দুপুরে উদ্ধার হয় ‘মাওবাদী’ পোস্টার। যাতে লেখা ছিল, “ফাঁড়িতে হামলা হবে।” যদিও এই পোস্টারের কথা স্বীকার করেনি পুলিস। অন্যদিকে, সকালে ‘মাওবাদী’ নামাঙ্কিত পোস্টার দেখতে পাওয়া যায় বাঁকুড়ার সারেঙ্গায়। সাদা কাগজে লাল কালি দিয়ে লেখা বেশ কয়েকটি পোস্টার। যার কোনওটিতে লেখা, ‘আমাদের নেতা কিষাণজির মৃত্যুর বদলা চাই। বর্তমান সরকারের সরকারি কর্মচারীরা যেসব দুর্নীতি করে চলেছে, তাঁদের বলছি, তোমার সময়ে শেষ হয়ে গিয়েছে।” আবার কোনওটিতে লেখা, “খেলা হবে, খেলা হবে। এবার তো আমারা খেলব TMC নেতাদের সঙ্গে।”

 

তবে লাল কালিতে লেখা এই পোস্টারকে ঘিরে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। কারা এই পোস্টার ছড়িয়েছে তা খতিয়ে দেখছে শালবনি থানার পুলিশ। প্রসঙ্গত মাওবাদী নাশকতার আশঙ্কায় জঙ্গলমহল জুড়ে জারি রয়েছে হাই এলার্ট, এরই মাঝে ফের জঙ্গলমহলের পিড়াকাটা এলাকায় মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধারকে ঘিরে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।

 

 

Google news