Justice For RG Kar: রাত দখলে মেয়েদের পিরিয়ড হলে কোথায় যাবেন! ট্রোলের মুখে পড়ে এবার সরব স্বস্তিকা

আরজি কর কাণ্ডে (Justice For RG Kar) প্রায় প্রতিদিনই প্রতিবাদে নামছেন সোহিনী সরকার, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, বিদীপ্তা চক্রবর্তীরা। মঙ্গলবার রাতও সেক্ষেত্রে কোনও ব্যতিক্রম রাত ছিল না। মঙ্গলবার রাতে শ্যামবাজারে নির্যাতিতার জন্য আওয়াজ তোলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।  এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনের কোনও এক দিনে সহ নাগরিকদের সঙ্গে হাসিমুখে ছবি তোলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। তার জেরে নতুন করে ট্রোলের মুখে পড়েন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।

অতীতেও একাধিকবার ট্রোলের মুখে পড়েছেন অভিনেত্রী। তবে কোনওবারই ট্রোল মুখ বুঝে সহ্য করেননি তিনি। সপাটে জবাব দিয়েছেন। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “আমি সন্দীপ ঘোষ নই। আমি রেপ করিনি। আমি খুন ও করিনি। রাস্তায় নেমে ১৫ ঘণ্টা ধরে প্রতিবাদরত মহিলা বা পুরুষদের সারাক্ষণ মুখ গম্ভীর করে থাকতে হবে সেই নিয়মটা কে বানালো? আর কোন নিয়ম মানব না। যেভাবে মনে হবে সেই ভাবে রাস্তায় নামব, দিনে, রাতে। এরা আমার অপরিচিত। এদের সবার সঙ্গে আজকে আলাপ হলো। কত অচেনা মানুষ চেনা হয়ে উঠছে।বেশ করেছি হেসেছি। যারা ২০ দিন ধরে রোজ জেগে আছে তারা যে ভাবে ভাল থাকার হোক থাকুক। যে যেভাবে প্রতিবাদ করার করুক। হেসে বা না হেসে।”

এরপরেই ট্রোল করা নেটিজেনদের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। তিনি বলেন, “যারা হেসেছি বলে ট্রোল করতে ব্যস্ত, তারা কেউ একবারও জিজেস করল না কিন্তু যে এতগুলো মেয়ে রাস্তায়, শ্যামবাজার মোড়ে তারা বাথরুম কোথায় যাবে? কারুর পিরিয়ড হোলে কোথায় প্যাড এর ব্যবস্থা হবে? ছি ছি এসব একদম ভাববেন না।”

আরজি কর কাণ্ডে (Justice For RG Kar) এর আগেও সেলিব্রেটিরা প্রতিবাদ মিছিলে হাসার কারণে নেটিজেনদের ট্রোলের মুখে পড়েছেন। তবে সেবার তাঁরা নীরবে সেই ট্রোল সহ্য করেছেন। কিন্তু স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় তা মুখ বুঝে সহ্য করেননি। নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে তিনি উত্তর দিয়ে গেছেন।  স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। একজন লিখেছেন, ‘মেয়েরা হাসলে প্রবলেম, কাঁদলে প্রবলেম, রাস্তায় বেরোলে প্রবলেম, ফিরতে দেরি হলে প্রবলেম, বেশি পড়াশুনো করলে প্রবলেম, রোগা হলে প্রবলেম, মোটা হলে প্রবলেম। অর্থ্যাৎ মেয়েমাত্রেই প্রবলেম। এমনটাই অনেকে এই দুহাজার চব্বিশেও মনে করেন। এদের বাদ দিয়েই আপনি-আপনারা-আমরা এগিয়ে চলি।’ অনেকে আবার লিখেছেন, “আন্দোলনের পথ অনেকটা দীর্ঘ। কঠিন সময় আসবেই। তবে মুখের হাসি মেলানো যাবে না।”

Google news