Durga Puja2023:ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে এবার “৭৫ এসে পুরাতনী বেশে” ইছাপুর হরিসভা সর্বজনীন

প্রণব বিশ্বাস, ইছাপুর: আপামর বাঙালির প্রাণের উৎসব প্রেমের উৎসব ও সেজে উঠবার উৎসব দুর্গোৎসব।

এবছর বর্ষা দেরি করে আসায় শরতের মাঝেও  বর্ষার চোখ রাঙানি থাকছে। যদিও শরতের নীল আকাশের নিচে সাদা কাশফুল জানান দেয় দুর্গোৎসবের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। অপেক্ষার আর মাত্র কিছুদিন। উত্তরে বিজপুর থেকে দক্ষিনে বরানগর গোটা শিল্পাঞ্চল জুড়েই কে কাকে টেক্কা দেবে তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে সমস্ত পূজা উদ্যোক্তাদের মধ্যে।

ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের দূর্গা পুজো বলতে প্রথমেই মনে আসে উত্তর শহরতলীর পরে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে ইছাপুর হরিসভার কথা, যারা সর্বপ্রথম জেলায় থিম পুজো নিয়ে আসে ।

 

“শৈল শহর দার্জিলিং” থিম বানিয়ে শুধু ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল নয় সারা জেলার মানুষ কে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল এই ইছাপুর হরিসভা সার্বজনীন। এ বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। ৭৫ তম বর্ষে তাঁদের থিম – “বারান্দায় তিলোত্তমা”।

 

ইছাপুর স্টেশন এর চার নম্বর প্লাটফর্ম থেকে বাইরে বেরিয়ে সোজা একটু এগিয়ে এসে বাদিকে ঢুকতেই চোখে পড়বে এক সুন্দর বাঁধানো পুকুর, তার গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে বেশ কটা আধুনিক দিনের ফ্ল্যাট বাড়ি। আর এর মাঝেই দেখা যাবে এক টুকরো উত্তর কলকাতা। আভিজাত্য এবং বনেদিয়ানা বজায় রাখার সিংহভাগ আজও বজায় রেখে চলেছে উত্তর কলকাতা। ওখানকার সরু গলি,সাবেকি আমলের বাড়ি, হাতে টানা রিকশা সব মিলিয়ে কোথায় যেন আস্ত কলকাতা শহরের গন্ধটা অনুভব করা যায়।

 

 

একসময় সকাল-বিকেল, দুই বেলাতেই রকে বসত আড্ডা,এ বাড়ির বারান্দা থেকে ও বাড়ির বারান্দায় চলত কথা আদান প্রদান, যে আড্ডায় অংশ নিতেন যৌথ পরিবারের সদস্যরা৷ কিন্তু আজ কংক্রিটের জঙ্গলে এখন আর সেই ফুরসত মেলে কই!
হয়ত সেই সময়ের মূল্যবোধ থেকেই এমন থিম বেছে নিয়েছেন এখানকার উদ্যোক্তারা! চলুন জেনে নেওয়া যাক কেন এই থিম? কি কি থাকছে এই থিমে? কিভাবে এই পুজো পরিচালনা করা হয় ?

 

 

পুজো কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা রাজা দত্ত জানান, ভিডিওটি দেখুন…..👇

পুরোনো কলকাতা নিয়ে যারা নস্টালজিক, তাদের অন্তত একবার ইছাপুর হরিসভায় সর্বজনীনে আসতেই হবে । কারণ এখানে এলে আপনার মনে হবে আপনি যেন সেই পুরোনো দিনের কলকাতায় ফিরে গিয়েছেন।