আষাঢ় মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয়াতে শুরু হয় প্রভু জগন্নাথের রথযাত্রা (Rath Yatra 2024)। সঙ্গী থাকেন দাদা বলভদ্র এবং বোন সুভদ্রা। এই বছর রথযাত্রার দিন ৭ জুলাই। রথযাত্রা বললে প্রথমেই মনে আসে পুরীর জগন্নাথ ধামের নাম। বিশ্ব প্রসিদ্ধ এই স্থানটি বুঝি বাঙালির সবচেয়ে প্রিয় তীর্থস্থান।
হুগলী জেলায়, জগন্নাথ দেবের মহেশ রথযাত্রার (Rath Yatra 2024) সময় প্রচুর ভিড় হয়। রথযাত্রা উৎসবের ৬২৭ তম বছরের প্রাক্কালে একটি বিশেষ উৎসব নবযৌবন বা নবকলেবর উৎসব পালন করা হয়। এই দিন মহেশ মন্দিরে জগন্নাথ দেব রাজার মতো সাজে। কিংবদন্তি অনুসারে, রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন প্রজাপতি ব্রহ্মার আদেশে বিষ্ণুর এক অনন্য রূপের পুজো শুরু করেছিলেন।
ভগবান বিশ্বকর্মা স্বয়ং স্বর্গ থেকে এসেছিলেন মূর্তি তৈরি করতে, কিন্তু তার শর্ত না মেনে রাজা সেই ঘরের দরজা খুলে দিলেন, তখন বিশ্বকর্মা তার কাজ শেষ করার আগেই সেখান থেকে অদৃশ্য হয়ে গেলেন। রাজা ঘরে ঢুকে দেখলেন, বিষ্ণুর সেই রূপ যেখানে হাত অসম্পূর্ণ। সেই থেকে জগন্নাথ দেবের হাতহীন মূর্তি সর্বত্র পূজিত হয়। মহাপ্রভুর নব যৌবন উৎসবের দিন মহেশের জগন্নাথ দেবকে রূপার হাত লাগানো হয়।
ভগবান জগন্নাথকে রাজকীয় পোশাক পরানো হয় এবং আড়ম্বরপূর্ণভাবে পুজো করা হয়। স্নানযাত্রা উৎসবের পরে, জগন্নাথ দেব জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পরে ১৫ দিনের জন্য গর্ভগৃহে বিচ্ছিন্নভাবে রাখা হয়েছিল। এই ১৫ দিন মন্দিরের সমস্ত দরজা বন্ধ থাকে এবং সেই সময় ভক্তদের নাম কীর্তনও বন্ধ থাকে।
কথিত আছে এই দিনে জগন্নাথ দেব জ্বর থেকে সুস্থ হয়ে মহানন্দায় অবস্থান করেন। ১৫ দিন মন্দিরে থাকার পর প্রথমবারের মতো খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের দরজা। ভক্তদের বিশ্বাস: এই দিনে জগন্নাথ দেব রাজ সকল ভক্তকে দুই হাতে আশীর্বাদ করেন। এদিন জগন্নাথ দেবের শরীরে হাত দেখা যায়।