শ্রাবণে কোন রাশির জাতকদের কোন জ্যোতির্লিঙ্গ আরাধনায় মিলবে ফল, জানুন

 

খবর এইসময়ের পাঠক – পাঠিকাদের জন্য  শ্রাবণ মাসের বিশেষ প্রতিবেদন 

ভগবান শিবের ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের প্রত্যেকটিরই পৃথক গুরুত্ব রয়েছে। শাস্ত্র অনুযায়ী, এই জ্যোতির্লিঙ্গগুলিই ব্যক্তিকে মৃত্যুলোকের দুঃখ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।

মেষ- এই রাশির জাতকদের সোমনাথ জ্যোতির্লিঙ্গের আরাধনা করা উচিত। পঞ্চামৃত দিয়ে সোমনাথের পুজো করলে শুভ ফল পাওয়া যায়। গঙ্গাজল, দুধ, দই, মধু ও ঘি মিশিয়ে পঞ্চামৃত তৈরি করা হয়। সোমনাথ জ্যোতির্লিঙ্গ গুজরাতের সৌরাষ্ট্রের বেরাবল বন্দরের নিকট অবস্থিত। মনে করা হয়, স্বয়ং চন্দ্র এই মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। এই মন্দিরে সোমনাথের পুজো পঞ্চামৃত দিয়ে করা হয়। পুরাণ মতে, চন্দ্রকে মহাদেব শাপমুক্ত করলে, তখন চন্দ্র যে বিধিতে সাকার শিবের পুজো করেছিলেন, সেই বিধিতেই আজও ওই মন্দিরে শিবপুজো হয়। লোককথা অনুযায়ী, এখানেই শ্রীকৃষ্ণ দেহ ত্যাগ করেছিলেন।
1/12মেষ- এই রাশির জাতকদের সোমনাথ জ্যোতির্লিঙ্গের আরাধনা করা উচিত। পঞ্চামৃত দিয়ে সোমনাথের পুজো করলে শুভ ফল পাওয়া যায়। গঙ্গাজল, দুধ, দই, মধু ও ঘি মিশিয়ে পঞ্চামৃত তৈরি করা হয়। সোমনাথ জ্যোতির্লিঙ্গ গুজরাতের সৌরাষ্ট্রের বেরাবল বন্দরের নিকট অবস্থিত। মনে করা হয়, স্বয়ং চন্দ্র এই মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। এই মন্দিরে সোমনাথের পুজো পঞ্চামৃত দিয়ে করা হয়। পুরাণ মতে, চন্দ্রকে মহাদেব শাপমুক্ত করলে, তখন চন্দ্র যে বিধিতে সাকার শিবের পুজো করেছিলেন, সেই বিধিতেই আজও ওই মন্দিরে শিবপুজো হয়। লোককথা অনুযায়ী, এখানেই শ্রীকৃষ্ণ দেহ ত্যাগ করেছিলেন।
বৃষ- এই রাশির জাতকদের মল্লিকার্জুনের নাম স্মরণ করে ওম নমঃ শিবায় মন্ত্রের জপ করতে করতে কাচা দুধ, দই, শ্বেত পুষ্প সহযোগে শিবের পুজো করা উচিত। দুধ দিয়ে শিবের অভিষেক করলে, তার সুফল পাওয়া যায়। তামার পাত্রে দুধ ভরে পাত্রের চারদিকে তিলক করে ‘’ওম শ্রী কামধেনবে নমঃ’ মন্ত্র জপ করতে করতে পাত্রে মৌলী বাঁধুন, এর পর পঞ্চাক্ষরী মন্ত্র ‘ওম নমঃ শিবায়’ জপ করার সময় কিছু ফুল অর্পণ করে শিবলিঙ্গে ধীরে ধীরে দুধের পাতলা ধারের মাধ্যমে রুদ্রাভিষেক করুন। অভিষেকের সময় ‘ওম সকল লৌকৈক গুরুর্বৈ নমরু’ মন্ত্রের জপ করুন। মল্লিকার্জুন জ্যোতির্লিঙ্গে শিব ও শক্তির আরাধনার করলে দেব-দানব, উভয়ের কাছ থেকেই ফল পাওয়া যায়। শিবের এই জ্যোতির্লিঙ্গ নল্লামালাইয়ের পাহাড়ে অবস্থিত।
2/12বৃষ- এই রাশির জাতকদের মল্লিকার্জুনের নাম স্মরণ করে ওম নমঃ শিবায় মন্ত্রের জপ করতে করতে কাচা দুধ, দই, শ্বেত পুষ্প সহযোগে শিবের পুজো করা উচিত। দুধ দিয়ে শিবের অভিষেক করলে, তার সুফল পাওয়া যায়। তামার পাত্রে দুধ ভরে পাত্রের চারদিকে তিলক করে ‘’ওম শ্রী কামধেনবে নমঃ’ মন্ত্র জপ করতে করতে পাত্রে মৌলী বাঁধুন, এর পর পঞ্চাক্ষরী মন্ত্র ‘ওম নমঃ শিবায়’ জপ করার সময় কিছু ফুল অর্পণ করে শিবলিঙ্গে ধীরে ধীরে দুধের পাতলা ধারের মাধ্যমে রুদ্রাভিষেক করুন। অভিষেকের সময় ‘ওম সকল লৌকৈক গুরুর্বৈ নমরু’ মন্ত্রের জপ করুন। মল্লিকার্জুন জ্যোতির্লিঙ্গে শিব ও শক্তির আরাধনার করলে দেব-দানব, উভয়ের কাছ থেকেই ফল পাওয়া যায়। শিবের এই জ্যোতির্লিঙ্গ নল্লামালাইয়ের পাহাড়ে অবস্থিত।3/12মিথুন- মহাকালেশ্বরের স্মরণ করে ‘ওম নমো ভগবতে রুদ্রায়’ মন্ত্রের যথাসম্ভব জপ করা উচিত। সবুজ ফলের রস, মুগ, বেলপাতা ইত্যাদির মাধ্যমে উজ্জয়িনীর মহাকালেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গের পুজো করা উচিত। মহাকালেশ্বর কালেরও কাল। মনে করা হয়, তাঁর পুজো করলে অকাল মৃত্যুর ভয় থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। মহাকালেশ্বরের শিবলিঙ্গে দুধে মধু মিশিয়ে স্নান করান। বেল ও শমী পাতা অর্পণ করুন। দক্ষিণমুখী হওয়ার কারণে মহাকালেশ্বর মন্দিরের পুণ্যদায়ী গুরুত্ব রয়েছে।
কর্কট- এই রাশির জাতকদের ওংকারেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গের পুজো করা উচিত। মধ্যপ্রদেশের খান্ডবা জেলায় নর্মদা নদীতে মন্ধাতা ও শিবপুরী নামক দ্বীপে অবস্থিতি ওংকারেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ কর্কট রাশির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এই দ্বীপ ওমের আকারের। এখানে দুটি মন্দির রয়েছে, একটি ওমকারেশ্বর ও অপরটি অমরেশ্বর। এই রাশির ব্যক্তিরা মহাশিবরাত্রির দিন শিবের এই রূপেরই পুজো করে থাকেন। ওংকারেশ্বরের স্মরণ করে পঞ্চামৃত দিয়ে শিবকে স্নান করান। এর পর বেলপাতা অর্পণ করুন। নর্মদা নদীতে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই ওমকারেশ্বরের নির্মাণ হয়েছিল বলে মনে করা হয়।
4/12কর্কট- এই রাশির জাতকদের ওংকারেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গের পুজো করা উচিত। মধ্যপ্রদেশের খান্ডবা জেলায় নর্মদা নদীতে মন্ধাতা ও শিবপুরী নামক দ্বীপে অবস্থিতি ওংকারেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ কর্কট রাশির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এই দ্বীপ ওমের আকারের। এখানে দুটি মন্দির রয়েছে, একটি ওমকারেশ্বর ও অপরটি অমরেশ্বর। এই রাশির ব্যক্তিরা মহাশিবরাত্রির দিন শিবের এই রূপেরই পুজো করে থাকেন। ওংকারেশ্বরের স্মরণ করে পঞ্চামৃত দিয়ে শিবকে স্নান করান। এর পর বেলপাতা অর্পণ করুন। নর্মদা নদীতে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই ওমকারেশ্বরের নির্মাণ হয়েছিল বলে মনে করা হয়।
সিংহ- এই রাশির জাতকদের বাবা বৈদ্যনাথ জ্যোতির্লিঙ্গের পুজো করা উচিত। জাতকরা যদি, ব্যবসা, পরিবার, রাজনীতি বা স্বাস্থ্যের কারণে সমস্যায় ভুগছেন, তা হলে মহাশিবরাত্রির দিনে জলে দুধ, দই, গঙ্গাজল ও মিশ্রী মিশিয়ে ‘ওম জটাধরায় নমঃ’ মন্ত্রের জপ করে শিবের অভিষেক করা উচিত। ঝাড়খণ্ডের দেবঘর অবস্থিত এই জ্যোতির্লিঙ্গ শিবের ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে নবম। পৌরাণিক ধ্যানধারণা অনুযায়ী, লঙ্কাপতি রাবণ এই জ্যোতির্লিঙ্গ এখানে এনে ছিলেন।
5/12সিংহ- এই রাশির জাতকদের বাবা বৈদ্যনাথ জ্যোতির্লিঙ্গের পুজো করা উচিত। জাতকরা যদি, ব্যবসা, পরিবার, রাজনীতি বা স্বাস্থ্যের কারণে সমস্যায় ভুগছেন, তা হলে মহাশিবরাত্রির দিনে জলে দুধ, দই, গঙ্গাজল ও মিশ্রী মিশিয়ে ‘ওম জটাধরায় নমঃ’ মন্ত্রের জপ করে শিবের অভিষেক করা উচিত। ঝাড়খণ্ডের দেবঘর অবস্থিত এই জ্যোতির্লিঙ্গ শিবের ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে নবম। পৌরাণিক ধ্যানধারণা অনুযায়ী, লঙ্কাপতি রাবণ এই জ্যোতির্লিঙ্গ এখানে এনে ছিলেন।
কন্যা- ভীমশঙ্কর জ্যোতির্লিঙ্গের পুজো করলে কন্যা রাশির জাতকেরা শিবের আশীর্বাদ লাভ করতে পারেন। মহারাষ্ট্রের ভীমা নদীর ধারে অবস্থিত এই জ্যোতির্লিঙ্গ কন্যা রাশির জ্যোতির্লিঙ্গ। ভীমশঙ্করকে প্রসন্ন করার জন্য দুধে ঘি মিশিয়ে শিবলিঙ্গকে স্নান করানো উচিত। ভীমশঙ্কর জ্যোতির্লিঙ্গ আবার মোটেশ্বর মহাদেব নামেও প্রসিদ্ধ। ১২টির মধ্যে এই ষষ্ঠ জ্যোতির্লিঙ্গটি, মহারাষ্ট্রের পুণে থেকে ১১০ কিলোমিটার দূর সহ্যাদ্রি পর্বতে অবস্থিত। মনে করা হয়, শ্রাবণ মাসে এই জ্যোতির্লিঙ্গের দর্শন করলে ব্যক্তির সমস্ত দুঃখ দূর হয়। 
6/12কন্যা- ভীমশঙ্কর জ্যোতির্লিঙ্গের পুজো করলে কন্যা রাশির জাতকেরা শিবের আশীর্বাদ লাভ করতে পারেন। মহারাষ্ট্রের ভীমা নদীর ধারে অবস্থিত এই জ্যোতির্লিঙ্গ কন্যা রাশির জ্যোতির্লিঙ্গ। ভীমশঙ্করকে প্রসন্ন করার জন্য দুধে ঘি মিশিয়ে শিবলিঙ্গকে স্নান করানো উচিত। ভীমশঙ্কর জ্যোতির্লিঙ্গ আবার মোটেশ্বর মহাদেব নামেও প্রসিদ্ধ। ১২টির মধ্যে এই ষষ্ঠ জ্যোতির্লিঙ্গটি, মহারাষ্ট্রের পুণে থেকে ১১০ কিলোমিটার দূর সহ্যাদ্রি পর্বতে অবস্থিত। মনে করা হয়, শ্রাবণ মাসে এই জ্যোতির্লিঙ্গের দর্শন করলে ব্যক্তির সমস্ত দুঃখ দূর হয়। 
তুলা- এই রাশির জাতকেরা রামেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গের পুজো করলে সুফল পেতে পারেন। তামিলনাড়ুতে অবস্থিত রাম দ্বারা নির্মিত এই মন্দিরের সম্পর্ক তুলা রাশির সঙ্গে। সীতার খোঁজে রাম সমুদ্রের ওপর সেতু নির্মাণ করে এই জ্যোতির্লিঙ্গ স্থাপন করেন। মহাশিবরাত্রির দিন এই জ্যোতির্লিঙ্গের দর্শনের ফলে দাম্পত্য জীবনে ভালোবাসা ও সদ্ভাব বজায় থাকে। রামেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গকে প্রসন্ন করার জন্য দুধে বাতাসা মিশিয়ে মহাদেবকে স্নান করানো উচিত, তার পর তাঁকে আকন্দ ফুল অর্পণ করা উচিত। রামেশ্বর বা রামলিঙ্গেশ্বর আবার হিন্দুদের চার ধামের মধ্যে একটি। এটি তামিলনাড়ুর রামনাথপুরম জেলায় অবস্থিত।
7/12তুলা- এই রাশির জাতকেরা রামেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গের পুজো করলে সুফল পেতে পারেন। তামিলনাড়ুতে অবস্থিত রাম দ্বারা নির্মিত এই মন্দিরের সম্পর্ক তুলা রাশির সঙ্গে। সীতার খোঁজে রাম সমুদ্রের ওপর সেতু নির্মাণ করে এই জ্যোতির্লিঙ্গ স্থাপন করেন। মহাশিবরাত্রির দিন এই জ্যোতির্লিঙ্গের দর্শনের ফলে দাম্পত্য জীবনে ভালোবাসা ও সদ্ভাব বজায় থাকে। রামেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গকে প্রসন্ন করার জন্য দুধে বাতাসা মিশিয়ে মহাদেবকে স্নান করানো উচিত, তার পর তাঁকে আকন্দ ফুল অর্পণ করা উচিত। রামেশ্বর বা রামলিঙ্গেশ্বর আবার হিন্দুদের চার ধামের মধ্যে একটি। এটি তামিলনাড়ুর রামনাথপুরম জেলায় অবস্থিত।
বৃশ্চিক- এই রাশির জাতকদের গুজরাতের দ্বারকা-স্থিত নাগেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ বা উত্তরাখণ্ডের আলমোড়া জেলায় অবস্থিত জাগেশ্বর মহাদেব (এটিকেও জ্যোতির্লিঙ্গ মনে করা হয়)-এর পুজো করা উচিত। এই দুই জ্যোতির্লিঙ্গের সম্পর্ক বৃশ্চিক রাশির সঙ্গে। মহাশিবরাত্রির দিন এই জ্যোতির্লিঙ্গের দর্শন করলে দুর্ঘটনা থেকে বাঁচা সম্ভব হয়। উক্ত দিন জ্যোতির্লিঙ্গের দর্শন করতে না-পারলে, দুধ ও খই দিয়ে শিবপুজো করা উচিত। এর পর শিবকে গাঁদা ফুল ও বেলপাতা অর্পণ করুন। এই রাশির জাতকরা ‘হ্রীং ওম নমঃ শিবায় হ্রীং’ মন্ত্রের জপ করা উচিত। এটি ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে দশম জ্যোতির্লিঙ্গ। গুজরাতের দ্বারকাপুরী থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই মন্দিরে আশপাশে কোনও জনবসতি গড়ে ওঠেনি।
8/12বৃশ্চিক- এই রাশির জাতকদের গুজরাতের দ্বারকা-স্থিত নাগেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ বা উত্তরাখণ্ডের আলমোড়া জেলায় অবস্থিত জাগেশ্বর মহাদেব (এটিকেও জ্যোতির্লিঙ্গ মনে করা হয়)-এর পুজো করা উচিত। এই দুই জ্যোতির্লিঙ্গের সম্পর্ক বৃশ্চিক রাশির সঙ্গে। মহাশিবরাত্রির দিন এই জ্যোতির্লিঙ্গের দর্শন করলে দুর্ঘটনা থেকে বাঁচা সম্ভব হয়। উক্ত দিন জ্যোতির্লিঙ্গের দর্শন করতে না-পারলে, দুধ ও খই দিয়ে শিবপুজো করা উচিত। এর পর শিবকে গাঁদা ফুল ও বেলপাতা অর্পণ করুন। এই রাশির জাতকরা ‘হ্রীং ওম নমঃ শিবায় হ্রীং’ মন্ত্রের জপ করা উচিত। এটি ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে দশম জ্যোতির্লিঙ্গ। গুজরাতের দ্বারকাপুরী থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই মন্দিরে আশপাশে কোনও জনবসতি গড়ে ওঠেনি।
9/12ধনু- বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ জ্যোতির্লিঙ্গের পুজো করলে এই রাশির জাতকেরা মহাদেবের আশীর্বাদ পেতে পারেন। এই রাশির জাতকদের শ্রাবণ মাস অথবা মহাশিবরাত্রির দিনে গঙ্গাজলে জাফরান মিশিয়ে শিবের অভিষেক করা উচিত। এর পর বেলপাতা, সবুজ অথবা লাল কনের অর্পণ করা উচিত। ধনু রাশির জন্য শিব মন্ত্র ‘ওম তৎপুরুষায় বিদ্মহে মহাদেবায় ধীমহি। তন্নো রুদ্রঃ প্রচোদয়াত’-এর জপ করা উচিত। 
10/12মকর- এই রাশির জাতক হলে ত্রয়ম্বকেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গের আরাধনা করে নীলকণ্ঠের আশীর্বাদ লাভ করতে পারেন। মকর রাশির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এই জ্যোতির্লিঙ্গ মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার ত্রিম্বক শহরে অবস্থিত। শ্রাবণ ও মহাশিবরাত্রির দিনে গঙ্গাজলে গুড় মিশিয়ে শিবের জলাভিষেক করা উচিত। এর পর নীল ফুল ও ধুতুরা অর্পণ করা উচিত। ত্রয়ম্বকেশরের স্মরণ করে ‘ওম নমঃ শিবায়’ মন্ত্রের পাঁচ মালা জপ করা উচিত। এই জ্যোতির্লিঙ্গের বিশেষত্ব হল, এখানে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশের চেহারার প্রতীকের দর্শনম লাভ হয়।
11/12কুম্ভ- এই রাশির জাতকদের উত্তরাখণ্ড-স্থিত কেদারনাথ জ্যোতির্লিঙ্গের পুজো করা উচিত। কেদারনাথ শিবলিঙ্গকে পঞ্চামৃত দিয়ে স্নান করানো উচিত। এর পর পদ্ম ও ধুতুরা অর্পণ করা উচিত। কেদার ভগবান শিব, রক্ষক ও বিনাশকের অপর নাম। পুরাণ অনুযায়ী এই মন্দিরের নির্মাণ পাণ্ডবরা করেছিলেন। এখানে পিরামিডের আকারে শিবলিঙ্গ রয়েছে।
12/12মীন- মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদ-স্থিত ঘৃষ্ণেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গের পুজো করলে মীন রাশির জাতকেরা শুভ ফল পেতে পারেন। এই রাশির জাতকদের দুধে জাফরান মিশিয়ে শিবলিঙ্গের অভিষেক করা উচিত। স্নানের পরে শিবকে গাওয়া ঘি, মধু, হলুদ কনের ফুল, বেলপাতা অর্পণ করা উচিত। ঘৃষ্ণেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ হিসেবে প্রসিদ্ধ। এই তীর্থস্থল দৌলতাবাদ (দেবগিরি) থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে বেরুল নামক গ্রামে অবস্থিত। মীন রাশির জন্য শিব মন্ত্র- ‘ওম তৎপুরুষায় বিদ্মহে মহাদেবায় ধীমহি। তন্নো রুদ্র প্রচোয়দয়াত’-এর জপ করা উচিত।

Google news