জীবন বীমা (Life Insurance) পলিসি নিয়ে দাবি প্রক্রিয়া সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে। আদালতের এই রায়ে বীমা পলিসিধারীদের সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে জীবন বীমা একটি পরম বিশ্বাসের চুক্তি, যেখানে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সঠিকভাবে প্রকাশ করা পলিসিধারকের দায়িত্ব। এসব তথ্য প্রকাশ না করলে পলিসির দাবি প্রত্যাখ্যান হতে পারে।
পলিসি ঘোষণা বাধ্যতামূলক
আদালত জানিয়েছে যে, জীবন বীমা নেওয়ার সময় যদি পূর্বের কোনও পলিসি উল্লিখিত না হয়, তবে বীমার দাবি প্রত্যাখ্যান করা যেতে পারে। তবে আদালত একই সাথে পলিসি নেওয়ার সময় সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে জানানোয় বীমাকারীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ মেনে নেয়নি।
মামলার বিবরণ
আজকের মামলায়, বিচারপতি বি.ভি. নাগরত্ন ও সতীশ চন্দ্র শর্মার বেঞ্চ পলিসি দাবি খারিজ করার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করেছেন। মামলার বিস্তারিত অনুযায়ী, আপিলকারী তার বাবার মৃত্যুর পর একটি ২৫ লক্ষ টাকার বীমা দাবির জন্য আবেদন করেন। তবে, অভিযোগ ছিল যে তার বাবা অন্য একটি লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসি গোপন করেছেন, যা প্রাথমিকভাবে দাবি খারিজের কারণ হয়।
আপিলকারীর পক্ষে রায়
তবে সুপ্রিম কোর্ট জানায় যে, পলিসি গোপন করার কারণে দাবি প্রত্যাখ্যান করা অন্যায্য। আদালত উল্লেখ করে যে আপিলকারী তার বাবা থেকে আসা আরো একটি ছোট পলিসির তথ্য উল্লেখ করেছিলেন এবং এ কারণেই সিদ্ধান্তে কোনো প্রতিকূল প্রভাব ফেলেনি।
এছাড়া, বীমাকারী প্রতিষ্ঠানকে ৯% সুদ সহ পরিশোধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অর্থ প্রদান আদেশ
সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে বীমা কোম্পানিকে নির্দেশ দেওয়া হয় যে, তারা বীমার দাবিটি ৯% বার্ষিক সুদসহ পরিশোধ করবে। আদালত এই রায়ের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে যে, কোনো ভুল তথ্য বা অপর্যাপ্ত তথ্য জমা দেয়া হলেও, যদি এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ না হয়, তবে তা দাবি প্রত্যাখ্যানের কারণ হতে পারে না।
সতর্কতা
এ রায়ের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট বীমা পলিসিধারকদের সতর্ক করেছে যে, তারা যেন সব ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উন্মোচন করেন, এবং অন্য কোনো পলিসি থাকলে সেটিও ঘোষণা করেন। পলিসি নেওয়ার সময় সর্বাধিক সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।