Manmohan Singh: প্রয়াত মনমোহন সিং! ৯২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর

প্রয়াত হলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। বৃহস্পতিবার রাত ৮.০৬ মিনিটে দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেসে (এইমস) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। স্বাস্থ্যের অবনতির পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৯২ বছর বয়সী সিংকে এইমসে ভর্তি করা হয়। ভারতের ১৪তম প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে দেশের অর্থনৈতিক সংস্কারের জনক হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

আজ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং-এর (Manmohan Singh) স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। পরে তাঁকে এইমস-এর জরুরি বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয়। সূত্রের খবর, শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাঁকে এইমসে নিয়ে যাওয়া হয়।

ডঃ মনমোহন সিং ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এর আগে তিনি (Manmohan Singh) ভারতের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। নরসিংহ রাও সরকারের আমলে তিনি অর্থনীতির উদারীকরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বলে মনে করা হয়।

রাজনীতি ও অর্থনীতির

ডঃ মনমোহন সিং ১৯৩২ সালের ২৬শে সেপ্টেম্বর অবিভক্ত ভারতের পঞ্জাব প্রদেশের একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৪৮ সালে পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন সম্পন্ন করেন। পরে তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯৫৭ সালে তিনি অর্থনীতিতে প্রথম শ্রেণীর সম্মান ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬২ সালে তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নফিল্ড কলেজ থেকে অর্থনীতিতে D.Phil সম্পন্ন করেন। মনমোহন সিং স্ত্রী গুরশরণ কৌর এবং তিন কন্যা রেখে গেছেন।

ভারতের চতুর্দশ প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং (Manmohan Singh) তাঁর নম্রতা, অধ্যবসায় এবং কাজের প্রতি প্রতিশ্রুতির জন্য পরিচিত। মনমোহন সিং ১৯৭১ সালে বাণিজ্য মন্ত্রকে অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭২ সালে তিনি অর্থ মন্ত্রকের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত হন। ডঃ সিং অর্থ মন্ত্রকের সচিব, পরিকল্পনা কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। মনমোহন সিং ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ভারতের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। এই সময়টি দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

পুরস্কার ও সম্মান

ডঃ মনমোহন সিং (Manmohan Singh) বেশ কয়েকটি পুরস্কার ও সম্মান পেয়েছেন। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক পুরস্কার পদ্মবিভূষণ (১৯৮৭), ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের জওহরলাল নেহরু জন্মশতবার্ষিকী পুরস্কার (১৯৯৫), বর্ষসেরা অর্থমন্ত্রীর জন্য এশিয়া মানি পুরস্কার (১৯৯৩ ও ১৯৯৪), বর্ষসেরা অর্থমন্ত্রীর জন্য ইউরো মানি পুরস্কার (১৯৯৩), কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডাম স্মিথ পুরস্কার (১৯৫৬), কেমব্রিজের সেন্ট জনস কলেজে বিশিষ্ট পারফরম্যান্সের জন্য রাইট পুরস্কার (১৯৫৫)। ডঃ সিংকে কেমব্রিজ এবং অক্সফোর্ড এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদান করেছে।

Exit mobile version