Manoj Kumar Death: প্রয়াত অভিনেতা মনোজ কুমার, ৮৭ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন

বলিউডের প্রবীণ অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মনোজ কুমার (Manoj Kumar Death) প্রয়াত হয়েছেন। এই দুঃখজনক খবরটি আসার সাথে সাথেই চলচ্চিত্র জগতে শোকের ছায়া নেমে আসে। এএনআই-এর প্রতিবেদন অনুসারে, ৮৭ বছর বয়সে মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ (Manoj Kumar Death) করেন এই অভিনেতা। স্পষ্টতই মনোজ কুমার ইন্ডাস্ট্রিতে তার দেশপ্রেমের জন্য পরিচিত ছিলেন। তার ভক্তরা তাকে ‘ভারত কুমার’ নামেই চিনতেন। মনোজ কুমার তার চলচ্চিত্র জীবনে ‘ক্রান্তি’, ‘পূরব অর পশ্চিম’, ‘হু ওয়াজ সে’ এবং ‘উপকার’-এর মতো দুর্দান্ত সব ছবি করেছিলেন। তার মৃত্যুতে (Manoj Kumar Death) সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তরাও প্রবীণ অভিনেতাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।

ভক্তরা প্রবীণ অভিনেতাকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন

অন্যদিকে, অভিনেতা মনোজ কুমারের মৃত্যুর খবর প্রকাশ পাওয়ার সাথে সাথেই তার ভক্তরা গভীরভাবে শোকাহত। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেতাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। স্পষ্টতই, মনোজ কুমার ‘উপকার’, ‘পূর্ব অর পশ্চিম’, ‘রোটি কাপড়া অর মাকান’-এর মতো অনেক ছবির মাধ্যমে তাঁর ভক্তদের হৃদয়ে একটি বিশেষ জায়গা করে নিয়েছিলেন।

দেশাত্মবোধক চলচ্চিত্রের জন্য তিনি ‘ভারত কুমার’ নামে পরিচিত ছিলেন

মনোজ কুমার, ১৯৩৭ সালের ২৪শে জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। তার পরিবারের দেওয়া নাম ছিল হরিকৃষ্ণ গিরি গোস্বামী। উল্লেখ্য, মনোজ কুমার ১৯৫৭ সালে ‘ফ্যাশন’ ছবি দিয়ে বলিউডে তার কেরিয়ার শুরু করেন। এরপর তিনি ‘কচ্চ কি গুড়িয়া’ ছবিতে কাজ করেন। এই ছবিটি ১৯৬০ সালে মুক্তি পায়। হিট ছবি দেওয়ার ধারাবাহিকতা এখান থেকেই শুরু হয়েছিল।

তিনি “শহীদ” (১৯৬৫), “উপকার” (১৯৬৭), “পূরব অর পশ্চিম” (১৯৭০), এবং “রোটি কাপড়া অর মাকান” (১৯৭৪) সহ দেশাত্মবোধক থিম সহ চলচ্চিত্রে অভিনয় ও পরিচালনার জন্য পরিচিত ছিলেন। এই ছবিগুলির কারণে তাকে ‘ভারত কুমার’ নামেও ডাকা হত।

তার দেশাত্মবোধক চলচ্চিত্র ছাড়াও, তিনি “হরিয়ালি অর রাস্তা”, “ওহ কৌন থি”, “হিমালয় কি গোদ মে”, “দো বদন”, “পাত্থর কে সনম”, “নীল কমল” এবং “ক্রান্তি” এর মতো অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় ও পরিচালনা করেছেন। তাকে শেষবার বড় পর্দায় দেখা গিয়েছিল ১৯৯৫ সালে ‘ময়দান-এ-জং’ ছবিতে।

পুরষ্কার এবং সম্মান

মনোজ কুমারকে ভারতীয় চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য ১৯৯২ সালে পদ্মশ্রী এবং ২০১৫ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

Exit mobile version