বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Modi-Trump) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে চলমান সংকট নিয়েও আলোচনা করেন। ট্রাম্প বলেছেন, বাংলাদেশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশে চলমান সংকটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনও ভূমিকা নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী মোদী নেবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওয়াশিংটনে দ্বিপাক্ষীক (Modi-Trump) বৈঠক করেছেন যেখানে তারা বাণিজ্য ও ভারত-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেছেন।
#WATCH | Washington, DC: When asked about the Bangladesh issue, US President Donald Trump says, ” There is no role for our deep state. This is something that PM has been working on for a long time and has worked on for hundreds of years…I have been reading about it. I will… pic.twitter.com/0B8Ortxx60
— ANI (@ANI) February 13, 2025
বাংলাদেশ নিয়ে কী বললেন?
এই মুহূর্তে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন দুই নেতা। এদিকে, তাকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পাশাপাশি বাংলাদেশের চলমান সংকট সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল। বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের সঙ্গে মার্কিন ডিপ স্টেটের জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘এতে আমাদের ডিপ স্টেটের কোনো ভূমিকা ছিল না। এটি এমন একটি বিষয় যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী (মোদী) দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন। শত শত বছর তারা কাজ করছে। সত্যি বলতে এ বিষয়ে পড়েছি। তবে বাংলাদেশ ইস্যুটি আমি প্রধানমন্ত্রীর (মোদী) ওপর ছেড়ে দেব।’
বাংলাদেশের সংকট
গত বছর আগস্টে কিছু সময়ের জন্য বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলন হয়েছিল, যার পরে আন্দোলন এতটাই তীব্র হয়ে ওঠে যে দেশটি অভ্যুত্থানের দিকে চলে যায়। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সময়ে দেশে আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে এবং বহু মানুষ আক্রান্ত হয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, প্রয়োজনে গত বছর শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের অনুরোধের জন্য ভারতে একটি অনুস্মারক পাঠানো হবে। অভ্যুত্থানের পর থেকে বাংলাদেশ শেখ হাসিনাকে ভারতে প্রত্যর্পণের দাবি জানিয়ে আসছে।
Trump said “Our deep state was not involved in Bangladesh, PM has been working on it for a long time, it’s been worked on for 100s of years, I’ve been reading about it, I will leave Bangladesh to the PM”, but Modi said nothing on Bangladeshpic.twitter.com/beR1q2hL7t
— Suarez (@CitizenBangla24) February 13, 2025
ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশ কী চায়?
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনাকে হত্যা, মানবাধিকার লঙ্ঘন, গণতন্ত্র ও প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে এবং প্রতিবেদনে প্রমাণিত হয়েছে যে, হাসিনা একজন ফ্যাসিবাদী, যিনি এ দেশের মানুষকে নির্যাতন, নির্যাতন ও হত্যা করেছেন। আমরা অবিলম্বে শেখ হাসিনা ও তাঁর সহযোগীদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের জন্য সরকারের কাছে হস্তান্তর করার জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
হিন্দুদের ওপর হামলা
হামলার পর বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। হিন্দুদের উপর হামলা, তাদের বাড়িঘর ও ব্যবসা-বাণিজ্যে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার বেশ কয়েকটি খবর পাওয়া গেছে। ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, সিলেট, খুলনা ও রংপুরের মতো জায়গা থেকে আরও হামলার খবর পাওয়া গেছে। এর অল্প কিছুদিন পরেই নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে দেশে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়।