নববধূর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার, গ্রেফতার স্বামী সহ শাশুড়ি

নিজস্ব প্রতিনিধি, কাঁথিঃ বিয়ের দু মাসের মধ্যে নববধূর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়৷ ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর থানার মান্দার গ্রামে। মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগে ভিত্তিতে স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

রামনগর থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা হল স্বামী মদন সাউ ও শ্বাশুড়ি বাসন্তী সাউ। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক স্বামীকে তিনদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। অন্যদিকে শ্বাশুড়িকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দু’মাস আগে প্রতিবেশী রাজ্য উড়িষ্যার যুবতী মমতা সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় রামনগরের মান্দার গ্রামের মদন।বিয়ের কয়েক দিনের পর থেকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে প্রায়ই নববধূর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতো স্বামী। আর সেই কাজে পুরো সহযোগিতা করতো তার পরিবারের সদস্যরা বলে অভিযোগ। দিনের-পর-দিন নববধূর উপর নির্যাতন চালাত শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা এমনটা স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। বুধবার সকালে গৃহবধু চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দেখে গৃহবধু জ্বলছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় গৃহবধূকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক গৃহবধু মমতা সাউকে (১৯) মৃত বলে ঘোষনা করেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ময়না তদন্তের পাঠান।

মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে প্রতিবেশী রাজ্য উড়িষ্যা থেকে রামনগরের ছুটে আসেন মৃতার বাপের বাড়ির সদস্যরা। বুধবার সন্ধ্যায় রামনগর থানার বাপের বাড়ির পক্ষ থেকে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। মেয়েকে কেরেসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে মেরেছে জামাই সহ তার পরিবারের সদস্যরা। পুলিশের কাছে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে মৃতার শ্বশুরবাড়ি সদস্যের দাবি পারিবারিক অশান্তি কারণে নিজেই কেরেসিন তেল ঢেলে আত্মঘাতী হয়েছে গৃহবধূ।রামনগর থানার ওসি সৌরভ চিননা বলেন অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী ও শ্বাশুড়িকে গ্রেফতার করা হয়েছে।গৃহবধুর ময়না তদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার হবে। স্বামীকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Exit mobile version