সনাতন জ্ঞান ও ঐতিহ্য চর্চাকে আরও আধুনিক করতে ও পরবর্তী প্রজন্মের কাছে সহজে পৌঁছে দিতে আধুনিক প্রযুক্তি এ আই এর সহায়তা নিচ্ছে ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টার (BRC)। এজন্য তারা আইআইটি বম্বের অধীন টিআইএইচ-আওটিতে ভারতজেন উদ্যোগের সঙ্গে মউ (মেমোরান্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং) সই (Mou Signing Ceremony)করল সোমবার ।
এদেশে ভাষার যে বিপুল বৈচিত্র্য রয়েছে, সেই ভাষাবিদ্যাকে এক ছাতার তলায় এনে ভাষা সম্পর্কিত প্রযুক্তি উন্নত করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রয়েছে ভারতজেনের।
ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের স্নাতকোত্তর স্তরের ডিগ্রিকে মান্যতা দিয়েছে মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়। এখানকার গবেষণাকে স্বীকৃতি দিয়েছে সাবিত্রীবাই ফুলে পুণে ইউনিভার্সিটি অফ রিসার্চ। ভারতের ঐতিহাসিক প্রাচুর্য, দর্শন ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নিয়ে ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারে গবেষণা হয়। তাছাড়া ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষা ও সংরক্ষণেও তাদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে।
এই চুক্তির ফলে গবেষণার প্রচলিত প্রক্রিয়া ও প্রণালী আরও উন্নত করে এবং দক্ষতা আরও বাড়াতে উন্নতমানের সফ্টওয়্যার টুল তৈরিতে তারা জোর দেবে। প্রাচীন প্রথাগত শিক্ষা, শিক্ষাপদ্ধতি ও গবেষণাকে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে উন্নত করার লক্ষ্যে এই সফ্টওয়্যাল ডেভেলব করা হবে। এর ফলে প্রাচীন বিদ্যা সহজেই করায়ত্ত্ব করা সম্ভব হবে আধুনিক প্রজন্মের পক্ষে।
আইআইটি বম্বের কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এবং ভারতজেনের প্রিন্সিপ্যাল ইনভেস্টিগেটর অধ্যাপক গণেশ রামকৃষ্ণন বলেন, “ভক্তিবেদান্ত রিচার্চ সেন্টারের সঙ্গে ভারতজেনের পথ চলার অর্থ হল ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক গবেষণায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার আনার ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যে সম্ভাবনা রয়েছে তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করা। সেই যাত্রাই শুরু হতে চলেছে।” ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের ডিন ডক্টর সুমন্ত রুদ্র বলেন, “এই পথ চলার মাধ্যমে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধা পাওযা যাবে। বাংলা হরফ নিয়ে কাজের ক্ষেত্রে গবেষকদের সুবিধা হবে।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আই আই টি বম্বের কম্পিউটার সাইন্স বিভাগের ইন্সটিটিউট চেয়ার প্রফেশর গনেশ রামকৃষ্ণান, টেকনলজি ইনকিউবেশান হাবের সিইও কিরন শেষ, ভারত জেনের সিইও ঋষি বল,প্রোগ্রাম ডিরেক্টর পঙ্কজ সিং,কোয়ালিটি স্পেশালিষ্ট ডক্টর তুশার ভোরা ও ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের ডিন সুমন্ত রুদ্র ও বলরাম লিলা দাস।