Naihati Byelection 2024: নৈহাটি বিধানসভা উপনির্বাচনে ঘরে ঘরে গিয়ে প্রচার সাড়ছেন বিজেপি প্রার্থী রূপক মিত্র

নৈহাটি বিধানসভার উপনির্বাচনে (Naihati Byelection 2024)  তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন গুরু পার্থ ভৌমিকের শিষ্য সনৎ দে। অন্যদিকে দীর্ঘ দিনের লড়াকু নেতা রূপক মিত্র ভারতীয় জনতা পার্টির সমর্থন পেয়ে দলের প্রার্থীপদ ঘোষণার পর তার মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে প্রচারের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।

নৈহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের তিনবারের বিধায়ক পদ থেকে ২০২৪ সালে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হয়ে জয় লাভ করেন এবং সাংসদ হন পার্থ ভৌমিক। ফলতো বিধায়কশূন্য হয়ে পরে নৈহাটি বিধানসভা কেন্দ্রটি।

শুধু নৈহাটিই নয় রাজ্যের পাঁচটি জেলায় মোট ছটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন (Naihati Byelection 2024) হতে চলেছে আগামী ১৩ ই নভেম্বর সেই ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে উত্তরবঙ্গে রয়েছে দুটি কেন্দ্র। সেই দুটি কেন্দ্র হল কোচবিহার জেলার সিতাই ও আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট। দক্ষিণবঙ্গে থাকা বাকি চারটি কেন্দ্র হল বাঁকুড়া জেলার তাল ড্যাংরা, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর এবং উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হাড়োয়া ও নৈহাটি।

নৈহাটি বিধানসভার উপনির্বাচনে (Naihati Byelection 2024) তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হন গুরু পার্থ ভৌমিকের শিষ্য সনৎ দে। অন্যদিকে দীর্ঘ দিনের লড়াকু নেতা রূপক মিত্র ভারতীয় জনতা পার্টির সমর্থন পেয়ে দলের প্রার্থীপদ ঘোষণার পর তার মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে প্রচারের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। নৈহাটি বিধানসভা এলাকার হালিসহরের বাসিন্দা রূপক বাবু প্রত্যেকদিন খুব সকাল থেকেই শুরু করে দিচ্ছেন তার নির্বাচনী প্রচার। তার সময়সূচী, ছোট ছোট স্ট্রিট কর্নার দিয়ে ভরা। এলাকা ধরে ধরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার সারতে দেখা যাচ্ছে রূপক বাবুকে।

নির্বাচনী (Naihati Byelection 2024) বৈতরণী পার হতে কতটা আত্মবিশ্বাসী জানতে চাওয়া হলে রূপক বাবু জানান, “যদি সুষ্ট নির্বাচনী প্রক্রিয়া হয় তাহলে আমার জয় ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। আমরা ভয়ের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। গোটা নৈহাটি বিধানসভা জুড়ে যে ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়ে রয়ছে তাতে এখানকার মানুষজন অত্যন্ত ভীত। আমাদের প্রতি মানে আমাদের ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতি মানুষের যথেষ্ট সমর্থন রয়েছে। কিছুদিন আগে রামকৃষ্ণ সিনেমা হলের সামনে রাতে তিলোত্তমা কান্ডের প্রতিবাদে মহিলাদের উপর যেভাবে অত্যাচার করেছিল তৃণমূলী হার্মাদ বাহিনী তা আরও একবার চোখে আঙুল তুলে দেখিয়ে দিয়েছে নৈহাটি তথা রাজ্যবাসীদের।”

আজ সোমবার সকালবেলায় তিনি ৪ নং ব্রিজ থেকে শুরু করে রাজ বন্দীগার্ড এবং রেলওয়ে সাইডিং সহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা গুলির মধ্য দিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার সারেন বিজেপি প্রার্থী। স্থানীয় রঞ্জন কুন্ডু জানান, “আপনারা কি জানেন যে নৈহাটি বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূলের যিনি প্রার্থী সনৎ দে তার নামে কতগুলো গুরুতর অভিযোগ আছে যেগুলো এখনো বিচারাধীন রয়েছে।

উনি ওনার নিজের যে হলফনামা জমা করেছেন তাতেই লেখা আছে দেখে নেবেন। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিস্ফোরক তৈরি, বিস্ফোরক দ্রব্য মজুদ ও সাপ্লাই, দাঙ্গা লাগানোর জন্য দুষ্কৃতিদের একত্রিকরণ ও প্রাণঘাতী অস্ত্র নিয়ে রাস্তায় নেমে দাঙ্গা লাগানোর প্রচেষ্টা, এটেম টু মার্ডার (হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা), ঘরে ঢুকে মহিলাদের সাথে জবরদস্তি, এমন সব অভিযোগে অভিযুক্ত। কিন্তু আপনি খোঁজ নিয়ে দেখুন বিজেপির যিনি প্রার্থী হয়েছেন তাঁর নামে কোনো ক্রিমিনাল অ্যাক্টিভিটি নেই।” তৃণমূল নৈহাটি জুড়ে যেভাবে ভয়ের একটা বাতাবরণ তৈরি করে রেখেছে, বিজেপি প্রার্থী জয়ী হলে দেখবেন নৈহাটির মানুষজন কতটা উল্লশিত হবেন।”

আজ বিকেলে পলাশী দুর্গা প্রসন্ন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে একটি স্ট্রিট কর্নারের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রার্থী। নৈহাটী বিধানসভা ক্ষেত্রটি, একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী যুদ্ধক্ষেত্র। নৈহাটী বিধানসভা কেন্দ্র নৈহাটী পৌরসভা এবং কাঁপা , শিবদাসপুর, পলাশী মাজিপাড়া এবং জেটিয়া এই চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত। এই বৈচিত্র্যপূর্ণ ক্ষেত্রটি বিজেপির প্রচারণা কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে, তারা জয়ের একটি লক্ষ্য নিয়ে এগোতে চাইছে । এলাকার সাথে রূপক মিত্রের ভূমির সম্পর্ক, হালিসহরের বাসিন্দা হওয়ায়,তার পক্ষে কাজ করবে বলে আশা করা যাচ্ছে, ভোটারদের মধ্যে একটি সম্ভাবনাময় খুশির বাতাবরণ দেখা যাচ্ছে।