নৈহাটির (Naihati) ব্যানার্জি পাড়ায় দিনদুপুরে গুলির শব্দে কেঁপে উঠল এলাকা। দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে নিহত হলেন তৃণমূল কর্মী সন্তোষ যাদব (Naihati)। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে (Naihati)। ইতিমধ্যেই দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ (Naihati)। যদিও প্রশাসনের কোনও আধিকারিক এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে চাননি (Naihati)।
রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু
এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী ছিলেন সন্তোষ যাদব, তা স্বীকার করেছেন নৈহাটির বিধায়ক সনৎ দে। তাঁর অভিযোগ, “সন্তোষ আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। লোকসভা নির্বাচনে অর্জুন সিং হেরে যাওয়ার পর থেকেই সমাজবিরোধীদের দিয়ে তাকে মারার চেষ্টা করা হচ্ছিল। প্রথমে গৌরিপুর ট্যাঙ্কের সামনে গুলি চালানো হয়, তারপর জোড়া বাড়ির সামনে তিন রাউন্ড গুলি চলে। প্রথম গুলি কানের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়, দ্বিতীয়টি কপালের মাঝখানে এবং তৃতীয়টি নাকে লাগে।”
ঘটনার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় সন্তোষ যাদবকে নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। খবর পেয়েই হাসপাতালে ভিড় জমান তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকরা।
রাজনৈতিক নয়, ব্যক্তিগত শত্রুতা?
তবে খুনের ঘটনায় রাজনৈতিক যোগের অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। তাঁর দাবি, “বিকাশ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে সন্তোষের পুরনো বিবাদ ছিল। দু’বছর আগে সন্তোষ যাদব তাকে গুলি করেছিল, কিন্তু সে প্রাণে বেঁচে যায়। থানায় অভিযোগও হয়েছিল। আজও তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল, থানায় যাওয়ার সময় রাস্তায় এই ঘটনা ঘটে। এটা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব, এর মধ্যে রাজনীতি টানার কিছু নেই।”
পুলিশের তদন্ত শুরু
পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। গুলি চালানোর ঘটনায় কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজনৈতিক শত্রুতার কারণে নাকি ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই খুন, তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে বারবার প্রকাশ্যে গুলি চালানোর ঘটনায় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।