নদিয়ার কৃষ্ণনগর সেক্টরের টুঙ্গি বর্ডার এলাকায় সীমান্তের (Bangladesh border) মাত্র দেড় কিলোমিটারের মধ্যে পাওয়া গেল আরও একটি বাঙ্কার। গত শুক্রবার (Bangladesh border) তিনটি বাঙ্কার আবিষ্কারের পর শনিবার আরও একটি (Bangladesh border) বাঙ্কারের খোঁজ মেলায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
উপর থেকে দেখলে সাধারণ টিনের ছাউনিযুক্ত ঘরের মতো মনে হলেও, মাটির নিচে লুকিয়ে রয়েছে এই রহস্যজনক বাঙ্কারগুলি। শনিবার যে বাঙ্কারটি উদ্ধার হয়েছে, তার উপরের অংশে কংক্রিটের একটি গেটও রয়েছে। বিষয়টি পরিষ্কার করছে যে বাঙ্কারগুলি বেশ কিছুদিন ধরেই নির্মিত। তবে কীভাবে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে এমন কাজ সম্ভব হয়েছে, তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
বাঙ্কারগুলির আবিষ্কার সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ)-এর কপালে ভাঁজ ফেলেছে। অনুপ্রবেশ বা নাশকতার উদ্দেশ্যে এগুলি ব্যবহার হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাঙ্কারগুলি খুঁড়ে তোলার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করেছে বিএসএফ।
সংশ্লিষ্ট এলাকায় বাঙ্কার নির্মাণে বাংলাদেশিদের ভূমিকা রয়েছে কিনা বা এপারের দালালরা এই কাজে যুক্ত কি না, তা নিয়ে চলছে তদন্ত। বাঙ্কারটি যেখানে পাওয়া গেছে, সেই জায়গার মালিক কে তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। স্থানীয় বাসিন্দাদেরও কেউ জমির মালিক সম্পর্কে কোনও তথ্য দিতে পারেননি।
বাঙ্কারটি সুধীর রঞ্জন মহাবিদ্যালয়ের খুব কাছেই পাওয়া গেছে। কলেজের এত কাছে এমন নির্মাণ কীভাবে সম্পন্ন হল, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, “প্রশাসন বিষয়টি দেখছে, ওরাই ব্যবস্থা নেবে।” বাঙ্কার আবিষ্কার নিয়ে বিএসএফ ও স্থানীয় প্রশাসন যৌথভাবে তদন্ত চালাচ্ছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সীমান্ত এলাকাগুলিতে বাড়তি নজরদারি শুরু করা হয়েছে। তবে এই রহস্যজনক বাঙ্কারগুলির প্রকৃত উদ্দেশ্য কী, তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট কোনও উত্তর মেলেনি। সীমান্ত এলাকায় এই ধরনের ঘটনা অনুপ্রবেশ ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলিকে নতুন করে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে।