‘বেপাত্তা নন রিয়া, এমন কি বিহার পুলিশ সমনও পাঠায়নি’, দাবি নায়িকার আইনজীবীর

দেবদত্তা সাহাঃ মুখ খুললেন রিয়া চক্রবর্তীর আইনজীবী সতীশ মানেসিন্ধে। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে বিহার পুলিশের দাবি উড়িয়ে দিয়ে তিনি দাবি করেন এখনও পর্যন্ত নাকি তাঁর মক্কেল কোনওরকম সমনই পায়নি বিহার পুলিশের তদন্তকারী অফিসারদের তরফে। সুশান্তের বাবা কেকে সিং গত ২৫ জুলাই রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর গোটা পরিবারের বিরুদ্ধে সুশান্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়াসহ একাধিক ধারায় এফআইআর দায়ের করেন পাটনার রাজীব নগর থানায়। যদিও এই তথ্য সামনে আসে ২৭ শে জুলাই মঙ্গলবার। এরপর থেকেই ‘গায়েব’ রিয়া চক্রবর্তী। শুক্রবার একটি ২০ সেকেন্ডে ভিডিয়ো প্রকাশ করে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন রিয়া। বলেন, তাঁর দেশের আইন ব্যবস্থার প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে যদিও তাঁর লোকেশনের খোঁজ মেলেনি। বিহার পুলিশও রবিবার জানায়, তাঁরা রিয়ার সঙ্গে অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও যোগাযোগ করতে পারেননি।

সতীশ মানেসিন্ধে বলেন, ‘বিহার পুলিশের এই দাবি পুরোপুলি মিথ্যা যে রিয়া বেপাত্তা। এখনও পর্যন্ত কোনওরকম নোটিশ বা সমন ওঁনি পাননি বিহার পুলিশের তরফে’। তিনি যোগ করেন, মুম্বই পুলিশের কাছে উনি আগেই বয়ান রেকর্ড করেছেন। যখনই ওঁনারে বলা হয়েছে উনি সহযোগিতা করেছেন।

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুম্বই পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিং বলেন, মু্ম্বই পুলিশ রিয়া চক্রবর্তীকে দু’বার জেরা করেছে। সুশান্ত-রিয়ার সম্পর্কের সব কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

রিয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের পর সময় যতই গড়িয়েছে ততই অস্বস্তিতে বেড়েছে নায়িকার। বুধবারই সুপ্রিম কোর্টে এই এফআইআরের বিরুদ্ধে পিটিশন দায়ের করেন রিয়া। রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানেসিন্ধে নিজের মক্কলেরে তরফে সেই পিটিশনে জানিয়েছেন, পাটনা পুলিশের হাত থেকে মুম্বই পুলিশের হাতে এই মামলার তদন্তভার অবিলম্বে স্থানান্তরিত করা হয়। কারণ এটি পাটনা পুলিশের জুরিসডিকশনের বাইরে। পাশাপাশি সুশান্তের পরিবার প্রভাব খাটিয়ে রিয়াকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলেও দাবি করা হয় ওই পিটিশনে। সুপ্রিম কোর্টে এই পিটিশনের শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ৫ অগস্ট।

গত ১৪ জুন সুশান্তের বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয় অভিনেতার দেহ। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে মুম্বই পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এই মামলায় ৫৬ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে এই মামলায়,জানিয়েছে মুম্বই পুলিশ।

রিয়া ও অভিনেত্রীর পরিবারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত, সুশান্তের সঙ্গে প্রতারণা (আর্থিক ও মানসিক) এবং তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মতো অভিযোগ এনেছেন কেকে সিং। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ (আত্মহত্যায় প্ররোচনা), ৩৪১,৩৪২,৩৮০,৪০৬, ৪২০-ধারায় রিয়ার পুরো পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে সুশান্তের পরিবার।

Exit mobile version